শেরপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপন
শেরপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে জেলার ১৮টি গির্জায় একযোগে বিশেষ প্রার্থনা, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও শান্তির বাণী প্রচারের মাধ্যমে বড়দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। বড়দিন উপলক্ষে শেরপুর শহরসহ জেলার বিভিন্ন খ্রিস্টানপল্লী আলোকসজ্জা, খ্রিস্টমাচ ট্রিসহ স্থাপনাগুলো নান্দনিক সাজসজ্জায় সেজে ওঠে। এতে সর্বত্র সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশ। জেলার ঝিনাইগাতীর মরিয়মনগর ক্যাথলিক চার্চসহ বিভিন্ন গির্জায় দেশ ও জাতির শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবকল্যাণ কামনায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রবীনশিয়াল ফাদার জর্জ রোজারিও সিএসসি বলেন, “বড়দিন আমাদের জন্য ভালোবাসা, শান্তি ও মানবতার শিক্ষা দেয়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলেমিশে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুললেই যিশুখ্রিস্টের আদর্শ বাস্তবায়ন হবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে সবাইকে মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত হতে হবে।” এ সময় ঝিনাইগাতীর মরিয়ম নগর খ্রিস্টধর্মপল্লীর রেভারেন্ড ফাদার লরেস সিবেরোজ সিএসসি বলেন, “বড়দিন কেবল খ্রিস্টানদের উৎসব নয়
শেরপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন উদযাপিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে জেলার ১৮টি গির্জায় একযোগে বিশেষ প্রার্থনা, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও শান্তির বাণী প্রচারের মাধ্যমে বড়দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। বড়দিন উপলক্ষে শেরপুর শহরসহ জেলার বিভিন্ন খ্রিস্টানপল্লী আলোকসজ্জা, খ্রিস্টমাচ ট্রিসহ স্থাপনাগুলো নান্দনিক সাজসজ্জায় সেজে ওঠে। এতে সর্বত্র সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশ। জেলার ঝিনাইগাতীর মরিয়মনগর ক্যাথলিক চার্চসহ বিভিন্ন গির্জায় দেশ ও জাতির শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবকল্যাণ কামনায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রবীনশিয়াল ফাদার জর্জ রোজারিও সিএসসি বলেন, “বড়দিন আমাদের জন্য ভালোবাসা, শান্তি ও মানবতার শিক্ষা দেয়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলেমিশে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুললেই যিশুখ্রিস্টের আদর্শ বাস্তবায়ন হবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে সবাইকে মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত হতে হবে।”
এ সময় ঝিনাইগাতীর মরিয়ম নগর খ্রিস্টধর্মপল্লীর রেভারেন্ড ফাদার লরেস সিবেরোজ সিএসসি বলেন, “বড়দিন কেবল খ্রিস্টানদের উৎসব নয়। এটি সর্বজনীন আনন্দের দিন। এই দিনে আমরা প্রার্থনার মাধ্যমে দেশ ও জাতির শান্তি, সম্প্রীতি এবং মানুষের কল্যাণ কামনা করেছি। সমাজে ভালোবাসা ও সহনশীলতার চর্চাই বড়দিনের মূল শিক্ষা।”
প্রার্থনা শেষে শিশুদের মাঝে উপহার বিতরণ ও কেক কাটার আয়োজন করা হয়। এতে শিশু-কিশোরসহ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে, বড়দিন উদযাপনকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন গির্জা ও আশপাশের এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
What's Your Reaction?