শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করল পাকিস্তান

রাওয়ালপিন্ডিতে রোববারের বিকেলটা যেন ছিল কেবল এক নিশ্চিত পরিণতির অপেক্ষা। সিরিজের আগের দুই ম্যাচেই শ্রেষ্ঠত্ব দেখানো পাকিস্তান তৃতীয় ওয়ানডেতেও শুরু করল নিজেদের মতোই। টার্গেট বড় ছিল না, ঝুঁকিও কম—তারপরও প্রথম কয়েক ওভারের টলোমলো অবস্থায় মনে হচ্ছিল ব্যাটারদের আরেকবার দায়িত্ব নিতে হবে। সেই জায়গাটাতেই সামনে এলেন ফখর জামান ও মোহাম্মদ রিজওয়ান, আর তাদের শান্ত-আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং শেষ পর্যন্ত ম্যাচটিকে রূপ দিল একপেশে জয়ে। ২১২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সপ্তম বলেই হোসেবুল্লাহ আউট—৮–১ স্কোরলাইন দেখে পাকিস্তান সমর্থকদের ভ্রু কুঁচকে ছিলই। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজম ও ফখরের ৭৪ রানের জুটি দলকে ফিরিয়ে আনে ছন্দে। ফখর খেললেন ৪৫ বলে ৫৫ রানের দারুণ ইনিংস—আটটি বাউন্ডারিতে সাজানো তাঁর ১৯তম অর্ধশতক। অন্য প্রান্তে বাবর চেষ্টা করেছিলেন নোঙর ফেলার, যদিও ভান্ডারসের দুর্দান্ত স্পেলে ৩৪ রানেই থামতে হয় তাকে। সেই মুহূর্তে পাকিস্তান ছিল ১০১–৪, ম্যাচে চাপ স্পষ্ট। এখানেই ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পটা লিখলেন রিজওয়ান ও হুসাইন তালাত। দুজনের ব্যাটে আস্তে আস্তে ম্যাচ বেরিয়ে আসে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে। ধীরস্থির ব্যাটিং, ঝুঁকি

শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করল পাকিস্তান

রাওয়ালপিন্ডিতে রোববারের বিকেলটা যেন ছিল কেবল এক নিশ্চিত পরিণতির অপেক্ষা। সিরিজের আগের দুই ম্যাচেই শ্রেষ্ঠত্ব দেখানো পাকিস্তান তৃতীয় ওয়ানডেতেও শুরু করল নিজেদের মতোই। টার্গেট বড় ছিল না, ঝুঁকিও কম—তারপরও প্রথম কয়েক ওভারের টলোমলো অবস্থায় মনে হচ্ছিল ব্যাটারদের আরেকবার দায়িত্ব নিতে হবে। সেই জায়গাটাতেই সামনে এলেন ফখর জামান ও মোহাম্মদ রিজওয়ান, আর তাদের শান্ত-আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং শেষ পর্যন্ত ম্যাচটিকে রূপ দিল একপেশে জয়ে।

২১২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সপ্তম বলেই হোসেবুল্লাহ আউট—৮–১ স্কোরলাইন দেখে পাকিস্তান সমর্থকদের ভ্রু কুঁচকে ছিলই। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজম ও ফখরের ৭৪ রানের জুটি দলকে ফিরিয়ে আনে ছন্দে। ফখর খেললেন ৪৫ বলে ৫৫ রানের দারুণ ইনিংস—আটটি বাউন্ডারিতে সাজানো তাঁর ১৯তম অর্ধশতক। অন্য প্রান্তে বাবর চেষ্টা করেছিলেন নোঙর ফেলার, যদিও ভান্ডারসের দুর্দান্ত স্পেলে ৩৪ রানেই থামতে হয় তাকে।

সেই মুহূর্তে পাকিস্তান ছিল ১০১–৪, ম্যাচে চাপ স্পষ্ট। এখানেই ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পটা লিখলেন রিজওয়ান ও হুসাইন তালাত। দুজনের ব্যাটে আস্তে আস্তে ম্যাচ বেরিয়ে আসে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে। ধীরস্থির ব্যাটিং, ঝুঁকিহীন শট নির্বাচন আর নিয়মিত স্ট্রাইক রোটেশনে রিজওয়ান তুলে নেন অপরাজিত ৬১ রান—প্রতিটি বলে ধৈর্য, প্রতিটি রানেই বুদ্ধিমত্তার ছাপ। তালাতও খেলেন ৪২ রানের অবিচল ইনিংস। তাদের ১০০ রানের অপরাজিত জুটি দলকে ৪৫তম ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা শুরুটা করেছিল ভালোই। নিসাঙ্কা ও মিশারার হাত ধরে গড়েছিল ৫০ রানের ওপেনিং জুটি। কিন্তু রাউফ, ওয়াসিম জুনিয়র, ফয়সাল আক্রম—একেকজন একেক সময়ে আঘাত হেনে ছিন্নভিন্ন করে দেন লঙ্কান ইনিংস। সবচেয়ে ধারালো ছিলেন ওয়াসিম জুনিয়র—১০ ওভারে ৩/৪৭। তার লাইন-লেংথ, পরিবর্তিত গতি আর ইয়র্কারে ব্যাটারদের বারবার বিপদে ফেলেছে।

সামারাউইকরামা লড়াই করে ইনিংসটাকে টেনে নিয়ে যান ৪৮ রানে, আর শেষদিকে পাভান রাথনায়েকে ৩২ রানের ঝলক দেখান। কিন্তু উইকেট পড়ার মিছিল থামেনি; শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা থামে ২১০ রানে, যা এই পাকিস্তানের সামনে যথেষ্ট হওয়ার কথা ছিল না–এবং হয়নি।

সিরিজের শেষ ম্যাচেও ব্যাট-বল দুই বিভাগে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্লিন–সুইপ, আর দলটিতে ফিরছে আত্মবিশ্বাস। টি–২০ বিশ্বকাপের পর পুনর্গঠনের পর্যায়ে থাকা পাকিস্তানের জন্য এই হোয়াইটওয়াশ নিঃসন্দেহে বড় স্বস্তির বার্তা।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow