সংকটে দীপিকার স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড

বলিউডের ঝলমলে দুনিয়ায় অভিনয়ই যেন সফলতার মাপকাঠি, এমন ধারণা ভেঙে দিয়েছেন বহু অভিনেত্রী। বড়পর্দার তারকা হয়ে উঠেছেন ব্যবসারও অধিপতি। তবে এই জগতে সাফল্যের পথ সবসময় সমতল নয়। কেউ প্রভূত লাভের মুখ দেখছেন, আবার কেউ আর্থিক ক্ষতির ধাক্কায় দিশাহারা। ঠিক তেমনই চিত্র এখন দীপিকা পাড়ুকোনের ব্র্যান্ড ‘৮২°ই’-এর। ত্বক পরিচর্যার এই ব্র্যান্ডের যাত্রা শুরু হয়েছিল উচ্চাশা নিয়ে। প্রথম দিকে বিক্রি ভালো হলেও গত আর্থিক বছরে প্রায় ১২.৩ কোটি টাকার ক্ষতি লিপিবদ্ধ হয়। আয়ও নেমে আসে ২১.২ কোটি থেকে ১৪.৭ কোটিতে। বিপণনে বিনিয়োগ বাড়ানো, খরচ কমানো—সব পথই অবলম্বন করেছিলেন দীপিকা। তবুও ‘৮২°ই’ আর্থিক সাফল্যের মুখ দেখাতে পারেনি। ব্র্যান্ড কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য এখন পরবর্তী অর্থবছরে লাভের হার ফের উঁচুতে তোলা। এদিকে ২০১৯ সালে সূচনা হওয়া প্রসাধনী ব্র্যান্ড ‘কে বিউটি’ ক্যাটরিনার সবচেয়ে সফল উদ্যোক্তা পরিচয়। শেষ আর্থিক বছরে ব্র্যান্ডের লাভ ৪৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি। ক্রেতাদের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়েছে পণ্যগুলিকে ঘিরে, আর সেটাই এই সাফল্যের পেছনের বড় শক্তি। এ ছাড়া মাত্র দু’বছরে ব্যবসায় অবাক করা সাফল্য পেয়েছে কৃতি শ্যানন। কৃতির ত্বক পরিচর্যার ব

সংকটে দীপিকার স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড

বলিউডের ঝলমলে দুনিয়ায় অভিনয়ই যেন সফলতার মাপকাঠি, এমন ধারণা ভেঙে দিয়েছেন বহু অভিনেত্রী। বড়পর্দার তারকা হয়ে উঠেছেন ব্যবসারও অধিপতি। তবে এই জগতে সাফল্যের পথ সবসময় সমতল নয়। কেউ প্রভূত লাভের মুখ দেখছেন, আবার কেউ আর্থিক ক্ষতির ধাক্কায় দিশাহারা। ঠিক তেমনই চিত্র এখন দীপিকা পাড়ুকোনের ব্র্যান্ড ‘৮২°ই’-এর।
ত্বক পরিচর্যার এই ব্র্যান্ডের যাত্রা শুরু হয়েছিল উচ্চাশা নিয়ে। প্রথম দিকে বিক্রি ভালো হলেও গত আর্থিক বছরে প্রায় ১২.৩ কোটি টাকার ক্ষতি লিপিবদ্ধ হয়। আয়ও নেমে আসে ২১.২ কোটি থেকে ১৪.৭ কোটিতে।

বিপণনে বিনিয়োগ বাড়ানো, খরচ কমানো—সব পথই অবলম্বন করেছিলেন দীপিকা। তবুও ‘৮২°ই’ আর্থিক সাফল্যের মুখ দেখাতে পারেনি। ব্র্যান্ড কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য এখন পরবর্তী অর্থবছরে লাভের হার ফের উঁচুতে তোলা।

এদিকে ২০১৯ সালে সূচনা হওয়া প্রসাধনী ব্র্যান্ড ‘কে বিউটি’ ক্যাটরিনার সবচেয়ে সফল উদ্যোক্তা পরিচয়। শেষ আর্থিক বছরে ব্র্যান্ডের লাভ ৪৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি। ক্রেতাদের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়েছে পণ্যগুলিকে ঘিরে, আর সেটাই এই সাফল্যের পেছনের বড় শক্তি।

এ ছাড়া মাত্র দু’বছরে ব্যবসায় অবাক করা সাফল্য পেয়েছে কৃতি শ্যানন। কৃতির ত্বক পরিচর্যার ব্র্যান্ড ‘হাইফেন’ আয় ছুঁয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। গ্রাহকদের সন্তুষ্টি এবং পুনঃক্রয়—এই দুইয়ের শক্তিতে হাইফেন দৌড়াচ্ছে স্টার ব্র্যান্ডগুলোর শীর্ষ সারিতে।

২০১১ সালে শুরু করা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার হেয়ারকেয়ার ব্র্যান্ড ‘অ্যানোমালি’—তারকাদের মালিকানাধীন ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আয়ের নিরিখে ২০২৩ সালে ছিল শীর্ষে।

সাফল্যের জোয়ার এতটাই যে ২০২৪ সালে লেডি গাগার ব্র্যান্ডকেও ছাপিয়ে যায় ‘অ্যানোম্যালি’। বলিউড থেকে হলিউড—ব্যবসায়িক মঞ্চেও বিশ্বব্যাপী ছাপ রেখেছেন প্রিয়াঙ্কা।

এদিকে অভিনয় থেকে খানিক দূরে থাকলেও নিজস্ব পোশাক ব্র্যান্ড ‘নুশ’ নিয়ে ব্যস্ত অনুষ্কা। শহুরে স্বাচ্ছন্দ্যকে কেন্দ্র করে তৈরি ফ্যাশন লাইনটি দেখছে স্থির চাহিদা ও ধারাবাহিক বৃদ্ধির সম্ভাবনা।

ব্যবসায়িক অঙ্গন বলিউডের গ্ল্যামার জগৎ থেকে আলাদা, এখানে কেবল সেলিব্রিটি নাম নয়, কার্যকারিতা, গ্রাহক আস্থা এবং বাজার কৌশলই নির্ধারণ করে সাফল্য। তাই কেউ ডুবে যাচ্ছে ক্ষতির গভীরতায়, কেউ আবার সাফল্যের তরঙ্গে ভাসছে।পরবর্তী অর্থবছর—তারকাদের এই ব্র্যান্ড যুদ্ধে কারা এগিয়ে থাকবে, তা এখন সময়ই বলবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow