সংবাদমাধ্যমে হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
দেশের শীর্ষ গণমাধ্যম প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ এবং খুলনার ডুমুরিয়ায় এক সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২১ ডিসেম্বর ) সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে শহরের নিউমার্কেট চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম। কর্মসূচির শুরুতে মহান বিপ্লবী শহীদ ওসমান হাদির স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়। জুলাই আন্দোলনে প্রথম আলোসহ স্বাধীন গণমাধ্যমগুলোর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। অথচ একটি উগ্র গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে মব তৈরি করে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে জড়াচ্ছে। বক্তারা অভিযোগ করেন, সাংবাদিক হত্যাসহ একের পর এক গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হলেও সরকার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে কেবল বিবৃতি দিয়েই দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করছে। তারা বলেন, ২৪-এর অভ্যুত্থান একটি নিরাপ
দেশের শীর্ষ গণমাধ্যম প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ এবং খুলনার ডুমুরিয়ায় এক সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২১ ডিসেম্বর ) সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে শহরের নিউমার্কেট চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম। কর্মসূচির শুরুতে মহান বিপ্লবী শহীদ ওসমান হাদির স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়। জুলাই আন্দোলনে প্রথম আলোসহ স্বাধীন গণমাধ্যমগুলোর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। অথচ একটি উগ্র গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে মব তৈরি করে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে জড়াচ্ছে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, সাংবাদিক হত্যাসহ একের পর এক গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হলেও সরকার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে কেবল বিবৃতি দিয়েই দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করছে। তারা বলেন, ২৪-এর অভ্যুত্থান একটি নিরাপদ, গণতান্ত্রিক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসম্পন্ন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা থেকেই হয়েছিল।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপি, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, এস এম জিন্নাহ, গাজী ফরহাদ, এস এম বিপ্লব হোসেন, জি এম সোহরাব হোসাইন, জামাল উদ্দিন, বরুণ ব্যানার্জি, হোসেন আলীসহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম বেলাল হোসাইন।
বক্তারা আরও বলেন, মহান বিপ্লবী শরিফ ওসমান হাদি কখনোই ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন না। তার জানাজায় মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই প্রমাণ করে— সন্ত্রাস ও সহিংসতা দিয়ে মানুষের ভালোবাসা অর্জন করা যায় না। অথচ তার মৃত্যুর খবরকে কেন্দ্র করে একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে।
বক্তারা অবিলম্বে গণমাধ্যমে হামলা ও অগ্নিসংযোগে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে খুলনার ডুমুরিয়ার শলুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমদাদুল হক হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান জানান তারা।
What's Your Reaction?