সংস্কারের দাবিতে সড়কে কচুগাছ লাগিয়ে প্রতিবাদ

ঝালকাঠির নলছিটিতে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত একটি সড়কের দুরবস্থার প্রতিবাদে সড়কে কচুগাছ রোপণ করে অভিনব প্রতিবাদ করেছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নের নাচনমহল ইউনিয়নের খুলনা গ্রামে হারধল ছাদেম মোল্লার বাড়ি থেকে টেকেরহাট আক্কাস হাওলাদারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে কচুগাছ রোপণ করেন গ্রামবাসী। তাদের অভিযোগ, বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি বর্তমানে খালে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে সড়কটি পানি ও কাদায় একাকার থাকে। আর এখন শুকনো মৌসুম চললেও সড়কটি চলাচলের উপযোগী করা হয়নি। তারা বলেন, এখনই যদি রাস্তা সংস্কার না করা হয়, তাহলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগের কোনো সীমা থাকবে না। প্রায় শতাধিক পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র এই সড়কটি এতটাই বেহাল যে, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন জুতা হাতে হেঁটে যেতে হয়। রাতের বেলা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিতে হয় মসজিদের মরদেহ বহনের খাটিয়ায় করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাঝপথেই অনেক সময় মুমূর্ষু রোগীর মৃত্যু ঘটে। খুলনা গ্রামের বাসিন্দা মো. আলামীন হাওলাদার বলেন, ‘সড়কের এমন অবস্থার কারণ

সংস্কারের দাবিতে সড়কে কচুগাছ লাগিয়ে প্রতিবাদ

ঝালকাঠির নলছিটিতে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত একটি সড়কের দুরবস্থার প্রতিবাদে সড়কে কচুগাছ রোপণ করে অভিনব প্রতিবাদ করেছে স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নের নাচনমহল ইউনিয়নের খুলনা গ্রামে হারধল ছাদেম মোল্লার বাড়ি থেকে টেকেরহাট আক্কাস হাওলাদারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে কচুগাছ রোপণ করেন গ্রামবাসী।

তাদের অভিযোগ, বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি বর্তমানে খালে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে সড়কটি পানি ও কাদায় একাকার থাকে। আর এখন শুকনো মৌসুম চললেও সড়কটি চলাচলের উপযোগী করা হয়নি। তারা বলেন, এখনই যদি রাস্তা সংস্কার না করা হয়, তাহলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগের কোনো সীমা থাকবে না।

প্রায় শতাধিক পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র এই সড়কটি এতটাই বেহাল যে, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন জুতা হাতে হেঁটে যেতে হয়। রাতের বেলা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিতে হয় মসজিদের মরদেহ বহনের খাটিয়ায় করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাঝপথেই অনেক সময় মুমূর্ষু রোগীর মৃত্যু ঘটে।

খুলনা গ্রামের বাসিন্দা মো. আলামীন হাওলাদার বলেন, ‘সড়কের এমন অবস্থার কারণেই আমরা আজ কচুগাছ রোপণ করেছি। বর্ষার সময়ে পানি ও কাদা, এখন শুকনো মৌসুমেও চলাচল করা যায় না। এখন যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে সামনে বর্ষায় আমাদের কষ্টের সীমা থাকবে না।’

আরেক বাসিন্দা মো. ছাদেম মোল্লা বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় পরিবার নিয়ে শহরে ভাড়া বাসায় থাকতে হচ্ছে। বাড়ি নির্মাণ করলেও রাস্তার কারণে মালামাল পরিবহনে কয়েকগুণ বেশি খরচ পড়ছে।’

এ বিষয়ে নাচনমহল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম (খোকন) বলেন, ‘খুলনা গ্রামের রাস্তার করুণ অবস্থার বিষয়টি আমি জানি। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’

দীর্ঘদিনের অবহেলার অবসান ঘটিয়ে দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা বলেন, ‘শুকনো মৌসুম থাকতেই কাজ শুরু না হলে আগামী বর্ষায় খুলনা গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ আরও ভয়াবহ রূপ নেবে।’

মো. আতিকুর রহমান/এমএন/এএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow