সম্পর্কে জটিলতা না চাইলে এড়িয়ে চলবেন যেসব ভুল

জীবনে চলার পথে অনেকেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সম্পর্ক গভীরও হয়। কিন্তু সম্পর্ক মানেই যে জীবন সবসময় হাসি-খুশিতে ভরপুর থাকবে এমন নয়। সম্পর্কে থাকাকালে নানা কারণে মনোমালিন্য-বিবাদ দেখা দিতে পারে। বলা যায় এসবও সম্পর্কেরই একটা অংশ।  সম্পর্কের এই জটিলতার পেছনে কখনো কখনো থাকে নিজেদেরই কিছু অভ্যাস। না বুঝেই কিছু ভুল সবাই করে ফেলেন, যা জটিলতা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু সেই ভুলগুলো কী? জেনে সতর্ক হয়ে যান।  ১. সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় সম্পর্কের সমীকরণ। প্রথমদিকে সারাদিন কথা বললেও একটা সময় পর তা কমে যায়। ব্যস্ততা যত বাড়ে দুজন দুজনের থেকে ততটা দূরে সরতে থাকে। দেখা যায় কোনো সমস্যা দেখা দিলেই একে অপরের কাছে অনুভূতি প্রকাশ করে। যা নিমেষেই সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে পারে। ২. সঙ্গী হয়ত অভিমানে একটা দীর্ঘ মেসেজ পাঠিয়েছেন কিংবা প্রয়োজনীয় কিছু লিখেছেন। আপনি এক বা দুই শব্দে অর্থাৎ খুব সংক্ষেপে ‘ওকে’ বা ‘হুম’ এ ধরনের উত্তর দিলেন। যা সঙ্গীকে ভুল বার্তা দেয়।  ৩. কোনো কিছু নিয়ে আলোচনা করতে বসলে সঙ্গীর কথা আগে শুনুন। তিনি কী বলছেন তা না শুনেই নিজের কথা বলতে যান অনেকেই, যা একদমই ঠিক নয়। অপর পাশের মানু

সম্পর্কে জটিলতা না চাইলে এড়িয়ে চলবেন যেসব ভুল

জীবনে চলার পথে অনেকেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সম্পর্ক গভীরও হয়। কিন্তু সম্পর্ক মানেই যে জীবন সবসময় হাসি-খুশিতে ভরপুর থাকবে এমন নয়। সম্পর্কে থাকাকালে নানা কারণে মনোমালিন্য-বিবাদ দেখা দিতে পারে। বলা যায় এসবও সম্পর্কেরই একটা অংশ। 
 
সম্পর্কের এই জটিলতার পেছনে কখনো কখনো থাকে নিজেদেরই কিছু অভ্যাস। না বুঝেই কিছু ভুল সবাই করে ফেলেন, যা জটিলতা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু সেই ভুলগুলো কী? জেনে সতর্ক হয়ে যান। 

১. সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় সম্পর্কের সমীকরণ। প্রথমদিকে সারাদিন কথা বললেও একটা সময় পর তা কমে যায়। ব্যস্ততা যত বাড়ে দুজন দুজনের থেকে ততটা দূরে সরতে থাকে। দেখা যায় কোনো সমস্যা দেখা দিলেই একে অপরের কাছে অনুভূতি প্রকাশ করে। যা নিমেষেই সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে পারে।

২. সঙ্গী হয়ত অভিমানে একটা দীর্ঘ মেসেজ পাঠিয়েছেন কিংবা প্রয়োজনীয় কিছু লিখেছেন। আপনি এক বা দুই শব্দে অর্থাৎ খুব সংক্ষেপে ‘ওকে’ বা ‘হুম’ এ ধরনের উত্তর দিলেন। যা সঙ্গীকে ভুল বার্তা দেয়। 

৩. কোনো কিছু নিয়ে আলোচনা করতে বসলে সঙ্গীর কথা আগে শুনুন। তিনি কী বলছেন তা না শুনেই নিজের কথা বলতে যান অনেকেই, যা একদমই ঠিক নয়। অপর পাশের মানুষকে মনের কথা প্রকাশের সুযোগ দিন।

৪. অশান্তি সম্পর্কেরই অংশ। কিন্তু অনেকেই যেকোনো বিবাদে পুরোনো প্রসঙ্গ টেনে আনেন। যা অশান্তিকে চরমে নিয়ে যায়।

৫. অনেকেই আছেন যারা মুখ ফুটিয়ে কিছু বলেন না। ভাবেন এমনিতেই সঙ্গী সব বুঝে নেবেন। তবে তার ব্যতিক্রম হলেই ভেঙে পড়েন, সঙ্গীর প্রতি অভিমানের পাহাড় তৈরি হয় মনে। যা একটা সময়ের পর সম্পর্কে দূরত্ব বাড়ায়।

৬. সবসময় সব ঝগড়ায় আপনিই যে জিতবেন তা কিন্তু নয়। বেশিরভাগ মানুষই এটা মানতে পারেন না। তাই সঙ্গীর সঙ্গে ঝগড়া হলেও যেকোনো মূল্যে জেতার চেষ্টা করেন। এই অভ্যাস সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow