সাবেক এমপি সুকুমার রঞ্জন মারা গেছেন

মুন্সীগঞ্জ-১ (সিরাজদীখান-শ্রীনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ (৭০) মারা গেছেন। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র, দুই কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।  সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ভোরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর ধরে পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ধানমন্ডির বাসায় অবস্থানকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুকুমার রঞ্জনের স্ত্রী আভা রাণী ঘোষ জানান, সোমবার সকাল ১০টায় রাজধানীর বরদেশ্বরী কালী মন্দিরে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।  এদিকে সুকুমার রঞ্জন ঘোষের মৃত্যুতে মুন্সীগঞ্জের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা সদরে তার প্রতিষ্ঠিত ঝুমুর সিনেমা হলের সামনে একটি প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর থেকেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি ধীরে ধীরে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান। শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচ

সাবেক এমপি সুকুমার রঞ্জন মারা গেছেন

মুন্সীগঞ্জ-১ (সিরাজদীখান-শ্রীনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ (৭০) মারা গেছেন। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র, দুই কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। 

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ভোরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর ধরে পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ধানমন্ডির বাসায় অবস্থানকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সুকুমার রঞ্জনের স্ত্রী আভা রাণী ঘোষ জানান, সোমবার সকাল ১০টায় রাজধানীর বরদেশ্বরী কালী মন্দিরে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। 

এদিকে সুকুমার রঞ্জন ঘোষের মৃত্যুতে মুন্সীগঞ্জের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা সদরে তার প্রতিষ্ঠিত ঝুমুর সিনেমা হলের সামনে একটি প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর থেকেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি ধীরে ধীরে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান। শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনায় পরিবার থেকেও তাকে আর সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হতে দেওয়া হয়নি।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তৃণমূল পর্যায়ে কর্মীদের মূল্যায়নের কারণে তার একটি আলাদা গ্রহণযোগ্যতা ছিল। মুন্সীগঞ্জের রাজনীতিতে নানা কারণে আলোচিত ও প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন সুকুমার রঞ্জন ঘোষ।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (কুল প্রতীক) এবং সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনকে (ধানের শীষ প্রতীক) পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, যা সে সময় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। পরে ২০১৪ সালের ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

রাজনীতির পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্র ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। নিজের মালিকানায় সিনেমা হল ও ফিল্ম হাউস পরিচালনার পাশাপাশি একটি ওষুধ কোম্পানিরও মালিক ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow