সাবেক তিন সংসদ সদস্যসহ ৭১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত অটোরিকশাচালক সবুজ হত্যা মামলায় জেলার সাবেক তিন সংসদ সদস্যসহ পলাতক ৭১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ফেনী সদর আমলি আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসান এ আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অস্ত্রধারীদের নির্বিচারের গুলিবর্ষণে নিহত হন অটোরিকশাচালক মোহাম্মদ সবুজ। পরে ওই বছরের ১৩ আগস্ট সবুজের ভাই মো. ইউছুফ বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম, ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লে. জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীসহ ফেনী সদর উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, সাবেক পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীসহ ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুক মিয়
ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত অটোরিকশাচালক সবুজ হত্যা মামলায় জেলার সাবেক তিন সংসদ সদস্যসহ পলাতক ৭১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ফেনী সদর আমলি আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসান এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অস্ত্রধারীদের নির্বিচারের গুলিবর্ষণে নিহত হন অটোরিকশাচালক মোহাম্মদ সবুজ। পরে ওই বছরের ১৩ আগস্ট সবুজের ভাই মো. ইউছুফ বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলায় ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম, ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লে. জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীসহ ফেনী সদর উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, সাবেক পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীসহ ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুক মিয়া তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১২ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে এজাহারভুক্ত ৬৫ জন ও তদন্তে নাম আসা ৫৯ জনসহ মোট ১২৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। কয়েক দফা শুনানি শেষে অভিযোগপত্রটি আমলে নেওয়ার পর পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুক মিয়া কালবেলাকে জানান, ওই মামলায় এজাহারভুক্ত ৫ জন ও সন্দেহভাজন ৪৯ জনসহ মোট ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ জনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তাদের মধ্যে কেউ আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনী কোট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হবে।
What's Your Reaction?