সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমিকম্পে স্কুলসহ ১৩ ভবনে ফাটল
ভূমিকম্পে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি স্কুলসহ ১৩টি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভবনগুলোর দেওয়াল, সিঁড়ি ও কলামে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। কয়েকটি ভবন দৃশ্যমানভাবে হেলে পড়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ভূমিকম্পের পর এ চিত্র দেখা যায়। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। স্থানীয়রা জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি নতুন মহলায় এলাকায় দুটি, মুক্তিনগর টায়ার মার্কেট গলিতে একটি, নিমাইকাশারী এলাকায় একটি, হীরাঝিল আবাসিক এলাকায় তিনটি, রনি সিটিতে দুটি, ভূমিপল্লিতে একটি, আটি হাউজিং এলাকার ৫ নম্বর রোডে দুটি এবং ২ নম্বর রোডের একটি ভবনে ফাটল ধরেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভূমিকম্প শুরু হতেই ভবনগুলো তীব্রভাবে দুলতে থাকে। এতে আতঙ্কিত বাসিন্দারা দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় চলে যান। এসময় কিছু ভবনে ফাটল ধরার সঙ্গে সঙ্গে ভবন সামান্য হেলে পড়ে। হীরাঝিল আবাসিক এলাকার সিটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনের নিচতলায় বড় ধরনের ফাটল দেখা গেছে। স্কুলের ইংলিশ মিডিয়াম শাখার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আজ বৃত্তি পরীক্ষা চলাকালে ভূমিকম্পে ভবন হঠাৎ দুলে ওঠে। এসময় পুরো স্কুলজুড়ে আতঙ্ক
ভূমিকম্পে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি স্কুলসহ ১৩টি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভবনগুলোর দেওয়াল, সিঁড়ি ও কলামে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। কয়েকটি ভবন দৃশ্যমানভাবে হেলে পড়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ভূমিকম্পের পর এ চিত্র দেখা যায়। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭।
স্থানীয়রা জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি নতুন মহলায় এলাকায় দুটি, মুক্তিনগর টায়ার মার্কেট গলিতে একটি, নিমাইকাশারী এলাকায় একটি, হীরাঝিল আবাসিক এলাকায় তিনটি, রনি সিটিতে দুটি, ভূমিপল্লিতে একটি, আটি হাউজিং এলাকার ৫ নম্বর রোডে দুটি এবং ২ নম্বর রোডের একটি ভবনে ফাটল ধরেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভূমিকম্প শুরু হতেই ভবনগুলো তীব্রভাবে দুলতে থাকে। এতে আতঙ্কিত বাসিন্দারা দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় চলে যান। এসময় কিছু ভবনে ফাটল ধরার সঙ্গে সঙ্গে ভবন সামান্য হেলে পড়ে।
হীরাঝিল আবাসিক এলাকার সিটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনের নিচতলায় বড় ধরনের ফাটল দেখা গেছে।
স্কুলের ইংলিশ মিডিয়াম শাখার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আজ বৃত্তি পরীক্ষা চলাকালে ভূমিকম্পে ভবন হঠাৎ দুলে ওঠে। এসময় পুরো স্কুলজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সব ছাত্র-ছাত্রীকে নিরাপদে নিচে নামিয়ে আনি। কেউ আহত হয়নি। তবে ভবনের সামনে একটি দেওয়ালে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে।’
পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকার বাসিন্দা ফয়সাল বলেন, ‘এই এলাকায় মসজিদের সামনে একটি ভবনে বেশ ফাটল ধরেছে। নিচতলায় একটি থাইয়ের দোকানের কিছু থাই গ্লাস ভেঙে গেছে।’
টায়ার মার্কেট এলাকার মো. সুমন বলেন, ‘ভূমিকম্পের পর টায়ার মার্কেট থেকে একটু পেছনের বাড়িটিতে বড় ফাটল ধরেছে। বাড়ির ভেতরে কিছু টাইলস উঠে গেছে।’
ভূমিপল্লি এলাকার তামান্না নামের এক গৃহিণী বলেন, ‘আমাদের আবাসিক এলাকায় একটি ভবন ফাটল ধরেছে। তবে কারও ক্ষতি হয়নি। তবে আমরা খুব ভয় পেয়েছি।’
রনি সিটির ৫ নম্বর রোডের বাসিন্দা আকলিমা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমাদের সিঁড়িতে টাইলসে চিড় ধরে গেছে। ভূমিকম্পের সময় রান্নাঘরের সব জিনিসপত্র পড়ে যায়। ভয়ে আমরা সবাই বাইরে বের হয়ে যাই। এখনো ভয় কাটেনি।’
এ বিষয়ে আদমজী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মিরন মিয়া বলেন, ‘আমরা ১৩টির খবর পাইনি। তবে আমাদেরকে ৩-৪টি এলাকা থেকে ফোন দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভবন হেলে পড়তে দেখিনি। ভবনগুলোতে ফাটল ধরেছিল। তবে কোনো হতাহতের খবর পাইনি।’
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর আলম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বেশ কিছু ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং দুটি ভবন হেলে পড়েছে। তবে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।’
মো. আকাশ/এসআর/জিকেএস
What's Your Reaction?