সিন্ডিকেট রুখতে খুলনায় মোবাইল বিক্রি বন্ধ

বাংলাদেশে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বাজারে সিন্ডিকেট গঠনের চেষ্টার অভিযোগে খুলনায় মোবাইল ফোনের মার্কেট বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে দোকান বন্ধ রেখে নগরীর শিববাড়ির মোড়ে খুলনা মহানগর মোবাইল ফোন ও অ্যাক্সেসরিজ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির আয়োজনে মানববন্ধন করেছেন তারা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানিতে ৫৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার সিস্টেম (এনইআইআর) চালুর উদ্যোগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য ‘বিপর্যয় ডেকে আনা সিদ্ধান্ত’। তাদের দাবি, এ নীতি কার্যকর হলে মোবাইল ফোনের দাম লাগামহীনভাবে বাড়বে, কোটি মানুষ প্রযুক্তিগতভাবে পিছিয়ে পড়বে এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা ধ্বংসের মুখে পড়বে। বক্তারা অভিযোগ করেন, দেশের মোবাইল বাজার বর্তমানে মাত্র ৮/৯ জন লাইসেন্সধারীর হাতে কেন্দ্রীভূত। ২০ কোটি মানুষের দেশে এত সীমিত সংখ্যক লাইসেন্স অযৌক্তিক উল্লেখ করে তারা বলেন, বাজারে ভারসাম্য ও প্রতিযোগিতা ফিরিয়ে আনতে লাইসেন্সের সংখ্যা অন্তত পাঁচ হাজারে উন্নীত করা জরুরি। ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, দেশের ৬০-৭০

সিন্ডিকেট রুখতে খুলনায় মোবাইল বিক্রি বন্ধ
বাংলাদেশে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বাজারে সিন্ডিকেট গঠনের চেষ্টার অভিযোগে খুলনায় মোবাইল ফোনের মার্কেট বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে দোকান বন্ধ রেখে নগরীর শিববাড়ির মোড়ে খুলনা মহানগর মোবাইল ফোন ও অ্যাক্সেসরিজ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির আয়োজনে মানববন্ধন করেছেন তারা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানিতে ৫৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার সিস্টেম (এনইআইআর) চালুর উদ্যোগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য ‘বিপর্যয় ডেকে আনা সিদ্ধান্ত’। তাদের দাবি, এ নীতি কার্যকর হলে মোবাইল ফোনের দাম লাগামহীনভাবে বাড়বে, কোটি মানুষ প্রযুক্তিগতভাবে পিছিয়ে পড়বে এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা ধ্বংসের মুখে পড়বে। বক্তারা অভিযোগ করেন, দেশের মোবাইল বাজার বর্তমানে মাত্র ৮/৯ জন লাইসেন্সধারীর হাতে কেন্দ্রীভূত। ২০ কোটি মানুষের দেশে এত সীমিত সংখ্যক লাইসেন্স অযৌক্তিক উল্লেখ করে তারা বলেন, বাজারে ভারসাম্য ও প্রতিযোগিতা ফিরিয়ে আনতে লাইসেন্সের সংখ্যা অন্তত পাঁচ হাজারে উন্নীত করা জরুরি। ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, দেশের ৬০-৭০ শতাংশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে বাদ দিয়ে মাত্র ৩০ শতাংশ প্রভাবশালী গোষ্ঠী বাজারে মনোপলি প্রতিষ্ঠার পাঁয়তারা করছে। এনইআইআর সিস্টেমকে হাতিয়ার করে তারা একচেটিয়া আধিপত্য গড়তে চাচ্ছেন। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা টিকে থাকতে পারবে না, আর সাধারণ মানুষকে বাধ্য হয়ে বেশি দামে ফোন কিনতে হবে। খুলনা মহানগর মোবাইল ফোন অ্যাক্সেসরিজ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কায়েসুল আজাদ শাকিলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম পল্টুর পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- আমিনুল ইসলাম রনি, খোরশেদ আলম, মাকসুদ রানা মুরাদ, মো. নুর ইসলাম সরদার, আজিজুল আমিন, ইমরান হাসান, মো. বেলাল হোসেন, নিহাল আহম্মদ হিরা, মোস্তফা কামাল, শাহনাজ আলী জনি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow