সিরাজগঞ্জে গরু ব্যবসায়ী হত্যায় চারজন গ্রেফতার
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে গরু ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ শেখ ওরফে খতিব (৪৫) হত্যার দায়ে চারজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সোমবার রাতে উপজেলার চর ফরিদপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- একই এলাকার মাসুদ রানা (৩৮), ফরিদুল ইসলাম (৪২), মোছা. শাহীনুর খাতুন (৪০) ও রফিকুল ইসলাম (৪০)। ওসি জানান, গত ১২ নভেম্বর সকালে রায়গঞ্জ উপজেলার ফুলজোড় নদী থেকে আব্দুল লতিফ শেখ ওরফে খতিবের মরদেহ উদ্ধার করে সলঙ্গা থানা পুলিশ। পরে নিহতের বাবা আমিনুল ইসলাম একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বলা হয়, ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন আব্দুল লতিফ। এরপর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে তাকে খুঁজেও পায়নি। ১২ ফেব্রুয়ারি ফুলজোড় নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে এ হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করে ডিবির একটি চৌকস টিম। এতে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামি শনাক্ত করে গ্রেফতার হয়। ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে আসামিরা জানায়,
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে গরু ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ শেখ ওরফে খতিব (৪৫) হত্যার দায়ে চারজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সোমবার রাতে উপজেলার চর ফরিদপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- একই এলাকার মাসুদ রানা (৩৮), ফরিদুল ইসলাম (৪২), মোছা. শাহীনুর খাতুন (৪০) ও রফিকুল ইসলাম (৪০)।
ওসি জানান, গত ১২ নভেম্বর সকালে রায়গঞ্জ উপজেলার ফুলজোড় নদী থেকে আব্দুল লতিফ শেখ ওরফে খতিবের মরদেহ উদ্ধার করে সলঙ্গা থানা পুলিশ। পরে নিহতের বাবা আমিনুল ইসলাম একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় বলা হয়, ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন আব্দুল লতিফ। এরপর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে তাকে খুঁজেও পায়নি। ১২ ফেব্রুয়ারি ফুলজোড় নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে এ হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করে ডিবির একটি চৌকস টিম। এতে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামি শনাক্ত করে গ্রেফতার হয়।
১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে আসামিরা জানায়, নিহত আব্দুল লতিফের সঙ্গে শাহীনুর খাতুনের দুই বছর ধরে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে লতিফ তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নেন। যা ফেরত চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। পরে শাহীনুর খাতুন রফিকুল ইসলামের সঙ্গে নতুনভাবে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। সম্পর্ক ও দেনাপাওনার দ্বন্দ্বে তারা দুজন মিলে লতিফকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে মাসুদ রানা ও ফরিদুল ইসলামসহ আরও কয়েকজনকে ভাড়া করেন তারা। তাদের এ পরিকল্পনা অনুযায়ী ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় শাহীনুর কৌশলে লতিফকে ফুলজোড় নদীর ঘাটে ডেকে নেয়। সেখানে তাকে ঘুমের ওষুধ মেশানো কোমল পানীয় পান করানো হয়। পরে অচেতন হওয়ার পর আসামিরা শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে হাত-পা ও কোমরে ইট বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়।
এম এ মালেক/এমআরএম
What's Your Reaction?