সিরিজ বাঁচানোর লড়াই

দাপুটে টেস্ট সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটা একেবারেই মনমতো হয়নি বাংলাদেশ দলের। প্রথম ম্যাচে হারতে হয়েছে ৩৯ রানে। চট্টগ্রামে সবশেষ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ধবলধোলাই হওয়ার পর একই ভেন্যুতে আইরিশদের বিপক্ষে শুরু হারে। সিরিজ বাঁচাতে আজ (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল। সিরিজের প্রথম ম্যাচটা হারতে হয়েছে ব্যাটিং ব্যর্থতায়। চট্টগ্রামের উইকেটে বড় স্কোর হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা হলেও, স্বাগতিক ব্যাটাররা সুবিধা করতে না পারাটা হতাশাজনক। উইন্ডিজ সিরিজ শুরুর আগে অধিনায়ক লিটন কুমার দাস চেয়েছিলেন সতীর্থরা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হোক। সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে লিটনের এই প্রত্যাশা বাস্তবে রূপ নেয়। ধবলধোলাই হতে হয় সিরিজটিতে। এবার সেই কঠিন সময়টা এসে পড়েছে আইরিশদের বিপক্ষেও। প্রথম ম্যাচে ১৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ করতে পেরেছে ৯ উইকেটে ১৪২। তাওহিদ হৃদয় ৫০ বলে ৮৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন, তবে জেতাতে পারেননি ম্যাচ। তিনি ছাড়া বাকি কেউই ভূমিকা রাখতে পারেননি ব্যাট হাতে। ৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ৬৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে পুরোপুরি ছিটকে যায় স্বাগতিকরা। আইরিশ বোলারদের

সিরিজ বাঁচানোর লড়াই

দাপুটে টেস্ট সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটা একেবারেই মনমতো হয়নি বাংলাদেশ দলের। প্রথম ম্যাচে হারতে হয়েছে ৩৯ রানে। চট্টগ্রামে সবশেষ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ধবলধোলাই হওয়ার পর একই ভেন্যুতে আইরিশদের বিপক্ষে শুরু হারে। সিরিজ বাঁচাতে আজ (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল।

সিরিজের প্রথম ম্যাচটা হারতে হয়েছে ব্যাটিং ব্যর্থতায়। চট্টগ্রামের উইকেটে বড় স্কোর হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা হলেও, স্বাগতিক ব্যাটাররা সুবিধা করতে না পারাটা হতাশাজনক। উইন্ডিজ সিরিজ শুরুর আগে অধিনায়ক লিটন কুমার দাস চেয়েছিলেন সতীর্থরা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হোক। সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে লিটনের এই প্রত্যাশা বাস্তবে রূপ নেয়। ধবলধোলাই হতে হয় সিরিজটিতে। এবার সেই কঠিন সময়টা এসে পড়েছে আইরিশদের বিপক্ষেও।

প্রথম ম্যাচে ১৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ করতে পেরেছে ৯ উইকেটে ১৪২। তাওহিদ হৃদয় ৫০ বলে ৮৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন, তবে জেতাতে পারেননি ম্যাচ। তিনি ছাড়া বাকি কেউই ভূমিকা রাখতে পারেননি ব্যাট হাতে। ৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ৬৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে পুরোপুরি ছিটকে যায় স্বাগতিকরা। আইরিশ বোলারদের তোপে আর দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশের কেউই।

বিশ্বকাপের আগে সবশেষ সিরিজ জিততে হলে আজকের ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। এর জন্য মূল দায়িত্বটা পালন করতে হবে ব্যাটারদের। বিশেষ করে ওপেনিং থেকে ভালো রান না এলে বড় সংগ্রহ দাঁড় করানো বা লক্ষ্য তাড়া করা কোনোভাবেই সহজ হবে না। তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন দুরন্ত সূচনা এনে দিতে পারলে কাজটা সহজ হবে বাংলাদেশের জন্য।

অধিনায়ক লিটন কুমার দাস ও হার্ডহিটার সাইফ হাসান তো আছেন এরপর। অন্যান্য সিরিজে ওপেনিং করলেও গত ম্যাচে সাইফ নেমেছেন চারে। প্রথম ম্যাচে লড়াই চালানো তাওহিদ হৃদয়ের কাছে প্রত্যাশা কিছুটা বেড়েছে নিশ্চিতভাবেই সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে। ফিনিশিংয়ে জাকের আলীর লেগ সাইড নির্ভরতা কমিয়ে মাঠের চারপাশ থেকেই রান বের করে আনতে হবে।

ব্যাটাররা সঠিকভাবে বোর্ডে এনে দিতে পারলে তবেই সেটি ডিফেন্ড করা সহজ হবে বোলারদের জন্য। আর আগে বোলিং করলে ১৬০-১৭০ রানের ভেতর আয়ারল্যান্ডকে আটকে রাখতে পারলে ভালো ওপেনিং জুটি বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখবে সিরিজে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে এমনটাই প্রত্যাশা সমর্থকদের।

আইএন/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow