সুদানের হাসপাতাল এখন দাগালোর সামরিক কমান্ড সেন্টার

যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের পশ্চিম করদোফানের আল-নুহুদ হাসপাতালের বড় অংশকে সামরিক কমান্ড সেন্টার ও ব্যারাকে পরিণত করেছে হামদান দাগালোর (হেমডিটি) নেতৃত্বে থাকা র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) এসব তথ্য জানিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। সংগঠনটির তথ্য মতে, আরএসএফ হলো সরকার-সমর্থিত সুদান সেনাবাহিনী (এসএএফ)-এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। আরএসএফ-এর কারণে হাসপাতালটি এখন নাগরিকদের জন্য অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার মূল ভূমিকা পালন করতে পারছে না। নেটওয়ার্কের ফেসবুক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে সামরিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে যা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেছে এবং নাগরিকদের চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার হরণ করেছে। তারা আরও উল্লেখ করেছে যে, শহরের কিছু চিকিৎসককে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতার অভিযোগে পালাতে বাধ্য করা হয়েছে। এসব কারণে হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর ফলে চিকিৎসাসেবা সীমিত করতে বাধ্য হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জাতিসংঘের তথ্য মতে, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সেনাবাহিনী ও আরএস

সুদানের হাসপাতাল এখন দাগালোর সামরিক কমান্ড সেন্টার

যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের পশ্চিম করদোফানের আল-নুহুদ হাসপাতালের বড় অংশকে সামরিক কমান্ড সেন্টার ও ব্যারাকে পরিণত করেছে হামদান দাগালোর (হেমডিটি) নেতৃত্বে থাকা র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)।

সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) এসব তথ্য জানিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

সংগঠনটির তথ্য মতে, আরএসএফ হলো সরকার-সমর্থিত সুদান সেনাবাহিনী (এসএএফ)-এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। আরএসএফ-এর কারণে হাসপাতালটি এখন নাগরিকদের জন্য অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার মূল ভূমিকা পালন করতে পারছে না।

নেটওয়ার্কের ফেসবুক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে সামরিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে যা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেছে এবং নাগরিকদের চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার হরণ করেছে। তারা আরও উল্লেখ করেছে যে, শহরের কিছু চিকিৎসককে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতার অভিযোগে পালাতে বাধ্য করা হয়েছে।

এসব কারণে হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর ফলে চিকিৎসাসেবা সীমিত করতে বাধ্য হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সেনাবাহিনী ও আরএসফ লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে—যদিও বাস্তব সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে মানবিক সংস্থাগুলো। যুদ্ধের কারণে ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং দেশজুড়ে মহামারি ও দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি তীব্র হয়েছে।

সুদানে এখন যে গৃহযুদ্ধ চলছে তা শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। তিন দশক ধরে প্রেসিডেন্ট থাকা ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার মধ্য দিয়ে এ সংকট শুরু হয়। ১৯৮৯ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সুদানের ক্ষমতায় আসা ওমর আল-বশিরকে পদ থেকে সরাতে ২০১৯ সালে সুদানে ব্যাপক হারে বিক্ষোভ হয়। এর ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের পতন ঘটে।

কেএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow