সুন্দরবন অভিযানে ৬ নৌকাসহ আটক ৮ আসামি
পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে বিডি২৪লাইভে প্রকাশিত ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বন বিভাগ নড়েচড়ে বসেছে। পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল হক দাবি করেছেন, বন বিভাগ সুন্দরবনে অপরাধীদের দমনে কাজ করছে। তবে বাস্তব চিত্র যেন ভিন্ন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলের ভাষ্যমতে, সুন্দরবন এখন পুরোপুরি প্রভাবশালী মহাজনদের দখলে। বেশি নৌকা ও বেশি টাকা দিতে না পারলে অভয়ারণ্যে প্রবেশ করা যায় না। জেলেরা জানান, তাঁরা বন বিভাগ, মহাজন ও জলদস্যুদের দ্বারা শোষিত হচ্ছেন। সুন্দরবনে প্রবেশের পাস (অনুমতি পত্র) করা থেকে শুরু করে মাছ বা কাঁকড়া বিক্রির শেষ পর্যন্ত তাঁদের প্রচুর পরিমাণ টাকা দিতে হয়।জেলেদের কথার সত্যতা মিলেছে, শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাতের ছয় ঘণ্টার অভিযানে ৬টি নৌকা ও ৮ জন আটকের পর। মাত্র ছয় ঘণ্টার অভিযানে এমন সফলতা জনমনে প্রশ্ন তুলেছে। গত এক সপ্তাহে বন বিভাগের স্মার্ট পেট্রোলিং টিমের অভিযানে মাত্র ৫টি নৌকা জব্দ করা হয়েছিল। এতে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি বাকি সবাই চুক্তিতে আবদ্ধ?এই বিশেষ অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া বুড়িগোয়ালিনী রেঞ
পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে বিডি২৪লাইভে প্রকাশিত ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বন বিভাগ নড়েচড়ে বসেছে।
পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল হক দাবি করেছেন, বন বিভাগ সুন্দরবনে অপরাধীদের দমনে কাজ করছে। তবে বাস্তব চিত্র যেন ভিন্ন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলের ভাষ্যমতে, সুন্দরবন এখন পুরোপুরি প্রভাবশালী মহাজনদের দখলে। বেশি নৌকা ও বেশি টাকা দিতে না পারলে অভয়ারণ্যে প্রবেশ করা যায় না।
জেলেরা জানান, তাঁরা বন বিভাগ, মহাজন ও জলদস্যুদের দ্বারা শোষিত হচ্ছেন। সুন্দরবনে প্রবেশের পাস (অনুমতি পত্র) করা থেকে শুরু করে মাছ বা কাঁকড়া বিক্রির শেষ পর্যন্ত তাঁদের প্রচুর পরিমাণ টাকা দিতে হয়।
জেলেদের কথার সত্যতা মিলেছে, শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাতের ছয় ঘণ্টার অভিযানে ৬টি নৌকা ও ৮ জন আটকের পর। মাত্র ছয় ঘণ্টার অভিযানে এমন সফলতা জনমনে প্রশ্ন তুলেছে। গত এক সপ্তাহে বন বিভাগের স্মার্ট পেট্রোলিং টিমের অভিযানে মাত্র ৫টি নৌকা জব্দ করা হয়েছিল। এতে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি বাকি সবাই চুক্তিতে আবদ্ধ?
এই বিশেষ অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া বুড়িগোয়ালিনী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল হক জানান, হলদেবুনিয়া অভয়ারণ্যকেন্দ্রের ছায়া নদীর প্রবেশ নিষিদ্ধ এলাকায় মাছ ধরার অপরাধে ৬টি নৌকা ও ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোট ৮৬ কেজি সাদা মাছ পাওয়া যায়। মাছসহ আসামীদের আজ কোর্টে পাঠানো হয়েছে। অভিযানে আরও অংশ নেন সাতক্ষীরা রেঞ্জের রেঞ্জ অ্যাসিস্ট্যান্ট এ বি এম হাবিবুল ইসলাম, মোঃ মেজবাউল ইসলামসহ হলদিবুনিয়া অভয়ারণ্য কেন্দ্রের স্টাফবৃন্দ।
What's Your Reaction?