সেলিম হায়দারের মৃত্যুতে শোকাহত রুনা লায়লা

ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন দেশের নন্দিত গিটারিস্ট সেলিম হায়দার। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ঢাকার মগবাজারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তার বিদায়ে শোকে ছেয়ে গেছে দেশের সংগীতাঙ্গন। এই খ্যাতিমান গিটারিস্টের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “আজ বাংলাদেশ একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান শিল্পীকে হারাল। সেলিম হায়দার গত তিরিশ বছরের বেশি সময় ধরে আমার সঙ্গে বাজিয়েছেন। আমরা একসঙ্গে প্রায় পুরো পৃথিবী ঘুরেছি, করেছি অসংখ্য কনসার্ট-জড়িয়ে আছে অগণিত স্মৃতি।” তিনি আরও লেখেন, “তিনি আমার দলের অবিচ্ছেদ্য সদস্য ছিলেন। প্রতিটি সুর, প্রতিটি গান তার ছিল মুখস্থ। কাজে ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। জানতাম তিনি অসুস্থ, নিয়মিত খোঁজ নিতাম। মন থেকে আশা করতাম-তিনি সুস্থ হয়ে আবার আমার কনসার্টে বাজাবেন। কিন্তু তা আর হলো না…খুব তাড়াতাড়ি তাকে হারালাম। তিনি চলে যাওয়ায় আমি মর্মাহত।” মাসখানেক আগে প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হন সেলিম হায়দার। এরপর ছিলেন চিকিৎসকের নিয়মিত তত্ত্বাবধানে। শারীরিক অবস্থার

সেলিম হায়দারের মৃত্যুতে শোকাহত রুনা লায়লা

ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন দেশের নন্দিত গিটারিস্ট সেলিম হায়দার। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ঢাকার মগবাজারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তার বিদায়ে শোকে ছেয়ে গেছে দেশের সংগীতাঙ্গন।

এই খ্যাতিমান গিটারিস্টের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “আজ বাংলাদেশ একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান শিল্পীকে হারাল। সেলিম হায়দার গত তিরিশ বছরের বেশি সময় ধরে আমার সঙ্গে বাজিয়েছেন। আমরা একসঙ্গে প্রায় পুরো পৃথিবী ঘুরেছি, করেছি অসংখ্য কনসার্ট-জড়িয়ে আছে অগণিত স্মৃতি।”

তিনি আরও লেখেন, “তিনি আমার দলের অবিচ্ছেদ্য সদস্য ছিলেন। প্রতিটি সুর, প্রতিটি গান তার ছিল মুখস্থ। কাজে ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। জানতাম তিনি অসুস্থ, নিয়মিত খোঁজ নিতাম। মন থেকে আশা করতাম-তিনি সুস্থ হয়ে আবার আমার কনসার্টে বাজাবেন। কিন্তু তা আর হলো না…খুব তাড়াতাড়ি তাকে হারালাম। তিনি চলে যাওয়ায় আমি মর্মাহত।”

মাসখানেক আগে প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হন সেলিম হায়দার। এরপর ছিলেন চিকিৎসকের নিয়মিত তত্ত্বাবধানে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সম্প্রতি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুটা উন্নতি হলে বাসায় ফিরলেও বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) আবার অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর পরই চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানীর হাতিরপুল পুকুরপাড় জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

আরও পড়ুন
বাবা হলেন অভিনেতা নিলয় আলমগীর 
প্রথমবার একসঙ্গে রাজ-তিথী 

সেলিম হায়দার ছিলেন দেশের অন্যতম দক্ষ লিড গিটারিস্ট। বেজ, রিদম গিটার, অ্যাকুস্টিক ড্রামস, কিবোর্ড-সবকিছুতেই ছিল তার সমান দক্ষতা। ফিডব্যাক প্রতিষ্ঠার বাইরেও দেশের অধিকাংশ জনপ্রিয় শিল্পীর সঙ্গেই বাজিয়েছেন তিনি। তার সংগীত পরিচালনায় ফিডব্যাকের দুটি জনপ্রিয় গান-‘এইদিন চিরদিন রবে’ ও ‘ঐ দূর থেকে দূরে’-আজও সমানভাবে শ্রোতাপ্রিয়।

এমএমএফ/জিকেএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow