স্ত্রীকে তালাক দিয়ে প্রবাসে, দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার

২০২৩ সালে গোপনে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে একমাত্র সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে প্রবাসে চলে গিয়েছিলেন নাজিম দেওয়ান। মাঝে মধ্যে দেশে আসলেও খবর নিতেন না স্ত্রী- সন্তানের। নিরুপায় হয়ে ওই বছরই আদালতের দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগী নারী। অবশেষে প্রবাস থেকে দেশে ফিরেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার ইউনিয়নপাড়া এলাকা থেকে নাজিম দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের মৃত বারেক দেওয়ানের ছেলে। সম্প্রতি তিনি প্রবাস থেকে দেশে এসেছিলেন। আদালতে করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে দায়েরকৃত ওই মামলায় নাজিম দেওয়ানকে ভরণপোষন, দেনমোহরানা ও খোরপোষসহ মোট ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৫শত টাকা প্রদানের রায় ঘোষণাপূর্বক ডিক্রী জারি করে আদালত। ২০২৪ সালের ১৭ এপ্রিল রায় প্রকাশ করা হলেও নাজিম দেওয়ান আদালতে উপস্থিত হননি। ফলে তার বিরুদ্ধে ৩ মাসের সাজা ঘোষণা করে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়। মামলার বাদী ফাহিমা আক্তার বলেন, তালাক দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে আমি আমার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিদারুণ মানসিক যন্ত্রণা ও অবহেলার মধ্য দিয়ে জীবনটা কোনোমতে পার করছি, বিগত কয়ে

স্ত্রীকে তালাক দিয়ে প্রবাসে, দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার

২০২৩ সালে গোপনে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে একমাত্র সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে প্রবাসে চলে গিয়েছিলেন নাজিম দেওয়ান। মাঝে মধ্যে দেশে আসলেও খবর নিতেন না স্ত্রী- সন্তানের। নিরুপায় হয়ে ওই বছরই আদালতের দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগী নারী। অবশেষে প্রবাস থেকে দেশে ফিরেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার ইউনিয়নপাড়া এলাকা থেকে নাজিম দেওয়ানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের মৃত বারেক দেওয়ানের ছেলে। সম্প্রতি তিনি প্রবাস থেকে দেশে এসেছিলেন।

আদালতে করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে দায়েরকৃত ওই মামলায় নাজিম দেওয়ানকে ভরণপোষন, দেনমোহরানা ও খোরপোষসহ মোট ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৫শত টাকা প্রদানের রায় ঘোষণাপূর্বক ডিক্রী জারি করে আদালত। ২০২৪ সালের ১৭ এপ্রিল রায় প্রকাশ করা হলেও নাজিম দেওয়ান আদালতে উপস্থিত হননি। ফলে তার বিরুদ্ধে ৩ মাসের সাজা ঘোষণা করে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়।

মামলার বাদী ফাহিমা আক্তার বলেন, তালাক দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে আমি আমার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিদারুণ মানসিক যন্ত্রণা ও অবহেলার মধ্য দিয়ে জীবনটা কোনোমতে পার করছি, বিগত কয়েকটা বছর পার হয়ে গেলেও তিনি আমার ও মেয়ের কোনো খোঁজখবর নেননি।

মির্জাপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তাকে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow