স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে রাহিমা আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী মুনসুর মিয়াসহ (৩২) তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার জয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় শনিবার (১৩ ডিসেম্বর)। মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অভিযুক্ত মুনসুর মিয়া উপজেলার জয়পুর গ্রামের রঙ্গ মিয়ার ছেলে। আর নিহত গৃহবধূ রাহিমা আক্তার একই গ্রামের মো. আবুল হাশেমের মেয়ে। ১০ বছর আগে মুনসুর মিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় রাহিমার। তাদের সংসারে আট বছর ও তিন বছর বয়সী দুটি ছেলেসন্তান রয়েছে। নিহত রাহিমার বাবা আবুল হাশেম বলেন, মুনসুর মিয়ার জুয়া খেলার অভ্যাস রয়েছে। জুয়ায় হেরে বাসায় গিয়ে রাহিমাকে মারধর করত। সেদিন সন্ধ্যায় জুয়ায় হেরে বাসায় গিয়ে রাহিমাকে বেধড়ক মারধর করে মুনসুর। একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে রাহিমাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় মুনসুর ও তার পরিবারের লোকজন। চিকিৎসক রাহিমাকে মৃত ঘোষণা করলে মুনসুর ও পরিবারের লোকজন লাশ রেখে পালিয়
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে রাহিমা আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী মুনসুর মিয়াসহ (৩২) তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার জয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় শনিবার (১৩ ডিসেম্বর)।
মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত মুনসুর মিয়া উপজেলার জয়পুর গ্রামের রঙ্গ মিয়ার ছেলে। আর নিহত গৃহবধূ রাহিমা আক্তার একই গ্রামের মো. আবুল হাশেমের মেয়ে।
১০ বছর আগে মুনসুর মিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় রাহিমার। তাদের সংসারে আট বছর ও তিন বছর বয়সী দুটি ছেলেসন্তান রয়েছে।
নিহত রাহিমার বাবা আবুল হাশেম বলেন, মুনসুর মিয়ার জুয়া খেলার অভ্যাস রয়েছে। জুয়ায় হেরে বাসায় গিয়ে রাহিমাকে মারধর করত। সেদিন সন্ধ্যায় জুয়ায় হেরে বাসায় গিয়ে রাহিমাকে বেধড়ক মারধর করে মুনসুর। একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে রাহিমাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় মুনসুর ও তার পরিবারের লোকজন। চিকিৎসক রাহিমাকে মৃত ঘোষণা করলে মুনসুর ও পরিবারের লোকজন লাশ রেখে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে দৌড়ে হাসপাতালে যাই। পরে রাতে লাশ বাড়িতে নিয়ে এসেছি। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। আজ সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। লাশ নিয়ে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরবো। পরে রাতে এ ঘটনায় মামলা করা হবে। আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।
মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, রাহিমার মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে দেখা গেছে। তিনি বিষপান করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
What's Your Reaction?