স্বাস্থ্যকর হলেও যাদের জন্য ক্ষতিকর পানিফল
শীতের আগে বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় পানিফল। বছরের অন্য সময় এটি খুব একটা পাওয়া যায় না, তাই চাহিদাও থাকে বেশি। পানিতে জন্মানো এই ফলের স্বাদ মিষ্টি এবং পুষ্টিগুণেও ভরপুর, তাই অনেকেই এটি খেতে ভালোবাসেন। পুষ্টিবিদরা বলছেন, পানিফল হলো শক্তির একটি প্রাকৃতিক উৎস। এতে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি১২ ও ভিটামিন সি রয়েছে, যা শীতের শুরুতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, অন্যান্য ফলের তুলনায় এতে পানির পরিমাণ অনেক বেশি। তাই শীতের ঠান্ডায় যারা পর্যাপ্ত পানি খেতে পারেন না, তাদের জন্য পানিফল শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখার একটি আদর্শ বিকল্প। তবে সব ভালো জিনিস সবার জন্য নয়। পানিফলের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, যেগুলো জানা জরুরি। আসুন জেনে নেওয়া যাক পানিফল খেলে কাদের বিপদ বাড়তে পারে- ১. ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স আছে যাদের, তাদের জন্য পানিফল ঝুঁকিপূর্ণ। এতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকায় বেশি পরিমাণে খেলে রক্তে শর্করা খুব দ্রুত বেড়ে যেতে পারে। ২. কিডনির সমস্যা থাকলে পানিফল খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এতে পটাশিয়াম অনেক বেশি, যা কিডনির স্বাভাবিক কাজকে চাপের মুখ
শীতের আগে বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় পানিফল। বছরের অন্য সময় এটি খুব একটা পাওয়া যায় না, তাই চাহিদাও থাকে বেশি। পানিতে জন্মানো এই ফলের স্বাদ মিষ্টি এবং পুষ্টিগুণেও ভরপুর, তাই অনেকেই এটি খেতে ভালোবাসেন।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, পানিফল হলো শক্তির একটি প্রাকৃতিক উৎস। এতে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি১২ ও ভিটামিন সি রয়েছে, যা শীতের শুরুতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, অন্যান্য ফলের তুলনায় এতে পানির পরিমাণ অনেক বেশি। তাই শীতের ঠান্ডায় যারা পর্যাপ্ত পানি খেতে পারেন না, তাদের জন্য পানিফল শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখার একটি আদর্শ বিকল্প।
তবে সব ভালো জিনিস সবার জন্য নয়। পানিফলের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, যেগুলো জানা জরুরি। আসুন জেনে নেওয়া যাক পানিফল খেলে কাদের বিপদ বাড়তে পারে-
১. ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স আছে যাদের, তাদের জন্য পানিফল ঝুঁকিপূর্ণ। এতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকায় বেশি পরিমাণে খেলে রক্তে শর্করা খুব দ্রুত বেড়ে যেতে পারে।
২. কিডনির সমস্যা থাকলে পানিফল খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এতে পটাশিয়াম অনেক বেশি, যা কিডনির স্বাভাবিক কাজকে চাপের মুখে ফেলতে পারে। কিডনি রোগীদের অতিরিক্ত সোডিয়াম খাওয়া নিষিদ্ধ-সংরক্ষিত পানিফলে সোডিয়াম থাকে আরও বেশি। এগুলো খেলে রক্তচাপ বাড়তে পারে এবং কিডনির অবস্থাও খারাপ হতে পারে।
৩.পানিফলে ফাইবার বেশি থাকে। তাই যাদের হজম শক্তি দুর্বল, তারা বেশি পরিমাণে খেলে পেটফাঁপা, গ্যাস বা অস্বস্তি হতে পারে। এছাড়া যারা আগে থেকেই ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রম (আইবিএস) বা হজমের সমস্যা ভুগচ্ছেন, তাদের জন্য এটি বেশি খাওয়া ঠিক নয়।
৪. যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তাদের জন্য পানিফলেও প্রতিক্রিয়া হতে পারে। যদিও সাধারণভাবে এই ফলে অ্যালার্জি খুব দেখা যায় না, তবুও কিছু মানুষে বমি, ডায়রিয়া বা ত্বকে চুলকানি দেখা দিতে পারে। তাই কারো এমন সমস্যা থাকলে পানিফল খাওয়ার আগে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
৫. যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, তাদের পানিফল না খাওয়াই ভালো। কারণ পানিফলে ভিটামিন কে থাকে, যা রক্ত জমাট বাঁধায় সাহায্য করে। এতে ওষুধের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে এবং হঠাৎ ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
এছাড়া পানিফল শীতল ধরনের ফল। তাই এটি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি খাওয়া ঠিক নয়। কারণ পানি খেলে শরীরে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বাড়তে পারে এবং সর্দি-কাশির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুন:
এই শীতে প্রতিদিন টমেটো সালাদ খাবেন যে কারণে
মুচমুচে খাবার কেন আমাদের মস্তিষ্ক পছন্দ করে
এসএকেওয়াই/জেআইএম
What's Your Reaction?