স্মিথের চোখের নিচে ‘কালো টেপ’, জানা গেল আসল কারণ

স্টিভেন স্মিথের চোখের নিচের কালো টেপ দেখে যে কারও প্রথমেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপলের কথা মনে পড়বে। খেলোয়াড়ি জীবনে চন্দরপল যখন খেলতেন তখন চোখের নিচে কালো টেপ নিয়ে খেলতেন। একইরকম দৃশ্য এবার দেখা গেল স্মিথের ক্ষেত্রে। সবকিছু ঠিক থাকলে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে চোখের নিচে কালো টেপ নিয়ে খেলবেন তিনি। কেন এমনটা করলেন তার পেছনেও রয়েছে ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যা।  চোখের নিচের কালো টেপকে ক্রিকেটের ভাষায় বলা হয়ে থাকে ‘অ্যান্টি গ্লেয়ার স্ট্রিপস’ বা ‘আই ব্ল্যাকস’। আলোর প্রতিফলন কমাতে এই বিশেষ টেপ পরে নামেন ক্রিকেটাররা। বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) শুরু হচ্ছে গ্যাবা টেস্ট। গোলাপি বলে হবে দিবারাত্রির এই টেস্ট। ফ্লাডলাইটের আলোতে যাতে বল দেখতে অসুবিধা না হয়, সে জন্য এই টেপ চোখের নিচে দিয়ে ব্যাট করতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। ক্রিকেটে ‘অ্যান্টি গ্লেয়ার স্ট্রিপস’ খুব কম দেখা গেলেও ফুটবল, বেসবলের মতো আমেরিকান খেলায় বিষয়টি বেশ পরিচিত। ১৯৩০ এর দশকে বেসবল কিংবদন্তি বেব রুথ এবং পরবর্তী সময়ে এনএফএলে টম ব্রাডিকেও এই টেপ পরে খেলতে দেখা গেছে।  স্মিথের এই নতুন উদ্যোগ প্রসঙ্গে সতীর্থ

স্মিথের চোখের নিচে ‘কালো টেপ’, জানা গেল আসল কারণ
স্টিভেন স্মিথের চোখের নিচের কালো টেপ দেখে যে কারও প্রথমেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপলের কথা মনে পড়বে। খেলোয়াড়ি জীবনে চন্দরপল যখন খেলতেন তখন চোখের নিচে কালো টেপ নিয়ে খেলতেন। একইরকম দৃশ্য এবার দেখা গেল স্মিথের ক্ষেত্রে। সবকিছু ঠিক থাকলে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে চোখের নিচে কালো টেপ নিয়ে খেলবেন তিনি। কেন এমনটা করলেন তার পেছনেও রয়েছে ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যা।  চোখের নিচের কালো টেপকে ক্রিকেটের ভাষায় বলা হয়ে থাকে ‘অ্যান্টি গ্লেয়ার স্ট্রিপস’ বা ‘আই ব্ল্যাকস’। আলোর প্রতিফলন কমাতে এই বিশেষ টেপ পরে নামেন ক্রিকেটাররা। বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) শুরু হচ্ছে গ্যাবা টেস্ট। গোলাপি বলে হবে দিবারাত্রির এই টেস্ট। ফ্লাডলাইটের আলোতে যাতে বল দেখতে অসুবিধা না হয়, সে জন্য এই টেপ চোখের নিচে দিয়ে ব্যাট করতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। ক্রিকেটে ‘অ্যান্টি গ্লেয়ার স্ট্রিপস’ খুব কম দেখা গেলেও ফুটবল, বেসবলের মতো আমেরিকান খেলায় বিষয়টি বেশ পরিচিত। ১৯৩০ এর দশকে বেসবল কিংবদন্তি বেব রুথ এবং পরবর্তী সময়ে এনএফএলে টম ব্রাডিকেও এই টেপ পরে খেলতে দেখা গেছে।  স্মিথের এই নতুন উদ্যোগ প্রসঙ্গে সতীর্থ ল্যাবুশেন বলেন, ‘অবশ্যই এর পেছনে কোনো কারণ আছে। আমি খুব গভীরে ভাবিনি, তবে ধারণা করছি এটি আলোর প্রতিফলন কমাতে সহায়তা করে। বল দেখতেও সহজ হয়। প্রমাণিত কি না জানি না। কিন্তু যদি স্মিথ এতে আত্মবিশ্বাস পায়, তাহলে আমি চাই ও চন্দরপলের মতোই বোলারদের ওপর মাঠে আধিপত্য দেখাক।’ দিন-রাতের টেস্টে স্মিথের রেকর্ড বরাবরই তুলনামূলকভাবে কম উজ্জ্বল। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৩টি গোলাপি বলের টেস্টে তার গড় ২৪ ইনিংসে ৩৭-এর সামান্য বেশি। লাল বলে যেখানে তার গড় ৬০-এর উপরে এবং শতরানের সংখ্যা ৩৫। এই পারফরম্যান্সের পার্থক্যই স্মিথকে বাড়তি প্রস্তুতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow