হাসিনাকে সমর্থন জানিয়ে পোস্ট: কারাগারে ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নিয়ে ফটোকার্ড পোস্ট করার জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ লাভলু মোল্লাহকে (শিশির) পাঁচ মাস আগের এক সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাতে নিজের বাসায় ঘেরাও অবস্থায় ফেসবুক লাইভে এসে তিনি গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কার কথা জানানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিক্ষার্থীরা তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করে। পরে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাসুম মিয়া তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জি এম কাউসার উল ইসলাম বলেন, লাভলুকে আদালতে হাজতখানায় রাখা হলেও তাকে আদালতে তোলা হয়নি। শুনানিতে তারা জানান, শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর তিনি ফেসবুকে ‘আই ডোন্ট কেয়ার’ লেখা একটি ফটোকার্ড শেয়ার করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’। এরপর একদল শিক্ষার্থী তার বাসার সামনে গিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে আটক করে পুলিশে দেয়। পাঁচ মাস আগে করা মামলার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও দাবি করেন এই আইনজীবী। প্রাপ্

হাসিনাকে সমর্থন জানিয়ে পোস্ট: কারাগারে ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নিয়ে ফটোকার্ড পোস্ট করার জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ লাভলু মোল্লাহকে (শিশির) পাঁচ মাস আগের এক সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাতে নিজের বাসায় ঘেরাও অবস্থায় ফেসবুক লাইভে এসে তিনি গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কার কথা জানানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিক্ষার্থীরা তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করে।

পরে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাসুম মিয়া তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী জি এম কাউসার উল ইসলাম বলেন, লাভলুকে আদালতে হাজতখানায় রাখা হলেও তাকে আদালতে তোলা হয়নি। শুনানিতে তারা জানান, শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর তিনি ফেসবুকে ‘আই ডোন্ট কেয়ার’ লেখা একটি ফটোকার্ড শেয়ার করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’। এরপর একদল শিক্ষার্থী তার বাসার সামনে গিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে আটক করে পুলিশে দেয়।

পাঁচ মাস আগে করা মামলার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেও দাবি করেন এই আইনজীবী।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, লাভলুর শেয়ার করা পোস্ট এবং লাইভ ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘আমাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। দুই ঘণ্টা ধরে বাসার সামনে মব করা হচ্ছে। আমি কোনো অন্যায় করিনি। শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে।’

কারাগারে পাঠানোর আবেদনে পুলিশ দাবি করেছে, লাভলু মোল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আখতারুজ্জামানের পিএস হিসেবে কাজ করেছেন এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মীদের ঝটিকা মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন বলে তাদের কাছে তথ্য আছে। তদন্তের স্বার্থে তাকে আটক রাখা জরুরি বলেও উল্লেখ করা হয়।

এ বছরের ৩১ মে শাহবাগ থানার কাটাবন মোড়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হঠাৎ মিছিল করে স্লোগান দেওয়ার পর পুলিশ আসতে দেখেই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরদিন ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৪০–৫০ জনকে অজ্ঞাত রেখে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক কামাল উদ্দিন।

এই পাঁচ মাস ধরে মামলার তদন্ত চললেও এ সময় লাভলুকে গ্রেফতার দেখানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এমডিএএ/ইএ/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow