হাসিনার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আইনি প্রক্রিয়া জানালেন প্রসিকিউটর

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে, যদি তারা নির্ধারিত সময় (৩০ দিনের মধ্যে) আপিল না করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। প্রসিকিউটর তামীম বলেন, “যদি দণ্ডপ্রাপ্তরা ৩০ দিনের মধ্যে আপিল না করেন, তাহলে তারা গ্রেপ্তার হলে রায় কার্যকর করা হবে। এই সময়সীমা অতিক্রান্ত হলে আর কোনো বিলম্ব মার্জনার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।” দণ্ডপ্রাপ্তদের আপিলের অধিকার ট্রাইব্যুনাল আইনের ২১ নম্বর ধারায় নিশ্চিত করা হয়েছে। এই ধারার ৩ উপধারায় বলা হয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্তরা রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন। এছাড়া ৪ উপধারায় বলা হয়েছে, আপিলের তারিখ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হবে। তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় আপিলের সময়সীমা দুটি পদ্ধতিতে বিভক্ত। যেসব আইনে আপিলের সময় নির্ধারিত নেই, সেখানে বিলম্ব মার্জনার আবেদন করা সম্ভব। কিন্তু বিশেষ আইনগুলোতে যদি আপিলের সময় সীমিত থাকে, য

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আইনি প্রক্রিয়া জানালেন প্রসিকিউটর

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে, যদি তারা নির্ধারিত সময় (৩০ দিনের মধ্যে) আপিল না করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

প্রসিকিউটর তামীম বলেন, “যদি দণ্ডপ্রাপ্তরা ৩০ দিনের মধ্যে আপিল না করেন, তাহলে তারা গ্রেপ্তার হলে রায় কার্যকর করা হবে। এই সময়সীমা অতিক্রান্ত হলে আর কোনো বিলম্ব মার্জনার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।”

দণ্ডপ্রাপ্তদের আপিলের অধিকার ট্রাইব্যুনাল আইনের ২১ নম্বর ধারায় নিশ্চিত করা হয়েছে। এই ধারার ৩ উপধারায় বলা হয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্তরা রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন। এছাড়া ৪ উপধারায় বলা হয়েছে, আপিলের তারিখ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হবে।

তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় আপিলের সময়সীমা দুটি পদ্ধতিতে বিভক্ত। যেসব আইনে আপিলের সময় নির্ধারিত নেই, সেখানে বিলম্ব মার্জনার আবেদন করা সম্ভব। কিন্তু বিশেষ আইনগুলোতে যদি আপিলের সময় সীমিত থাকে, যেমন এই মামলায়, তাহলে ৩০ দিনের সময়সীমা পেরোলে আর কোনো বিলম্ব মার্জনার সুযোগ নেই এবং রায় সরকার কার্যকর করবে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা এখন ট্রাইব্যুনাল থেকে সার্টিফায়েড অনুলিপি, সাক্ষীর জবানবন্দি ও নথি সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া তারা ৩০ দিনের মধ্যে আপিল বিভাগে আপিল ফাইল করতে পারবেন এবং সেই সময়ের মধ্যে জামিন আবেদন করতে পারবেন।

এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-১-এর চেয়ারম্যানের অসুস্থতার কারণে রায় প্রকাশের একদিন পরও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলিতে অনুলিপি পাঠানো সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের মন্ত্রণালয় এখন ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ও হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করার অপেক্ষায় রয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow