হাসিনার ৮৩২ ভরি স্বর্ণ বিষয়ে নতুন তথ্য জানাল দুদক

অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখার দুটি ভল্টে থাকা ৮৩২.৫ ভরি স্বর্ণ শুধু ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়, তার বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্যের ব্যক্তিগত স্বর্ণালংকার রাখা ছিল বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য দেন। দুদক মহাপরিচালক জানান, ভল্টে থাকা নথি ও অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে—জব্দ হওয়া স্বর্ণালংকারের একটি অংশ শেখ হাসিনার, আরেকটি অংশ শেখ রেহানা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ব্যক্তিগত সম্পদ। প্রতিটি স্বর্ণালংকার আলাদাভাবে চিহ্নিত (মার্কিং) করা ছিল, যা দেখে কার অংশ কোনটি তা নির্ধারণ করবে কমিশন। তিনি আরও বলেন, অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা এখন স্বর্ণগুলো আলাদা করে ইনভেন্টরি তৈরি করছেন। শেখ হাসিনার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীর সঙ্গে মিলিয়ে কোন অংশ তার, তা নির্ধারণ করা হবে। ৮৩২ ভরি জব্দকৃত স্বর্ণের মধ্যে শেখ হাসিনার কতটুকু—এ প্রশ্নে তিনি জানান, সম্পদ বিবরণী মিলিয়েই সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। স্বর্ণগুলো বৈধ না অবৈধ—এ বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক বলেন, “যদি জ্ঞাত আয়ের সঙ্গ

হাসিনার ৮৩২ ভরি স্বর্ণ বিষয়ে নতুন তথ্য জানাল দুদক

অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখার দুটি ভল্টে থাকা ৮৩২.৫ ভরি স্বর্ণ শুধু ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়, তার বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্যের ব্যক্তিগত স্বর্ণালংকার রাখা ছিল বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য দেন।

দুদক মহাপরিচালক জানান, ভল্টে থাকা নথি ও অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে—জব্দ হওয়া স্বর্ণালংকারের একটি অংশ শেখ হাসিনার, আরেকটি অংশ শেখ রেহানা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ব্যক্তিগত সম্পদ। প্রতিটি স্বর্ণালংকার আলাদাভাবে চিহ্নিত (মার্কিং) করা ছিল, যা দেখে কার অংশ কোনটি তা নির্ধারণ করবে কমিশন।

তিনি আরও বলেন, অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা এখন স্বর্ণগুলো আলাদা করে ইনভেন্টরি তৈরি করছেন। শেখ হাসিনার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীর সঙ্গে মিলিয়ে কোন অংশ তার, তা নির্ধারণ করা হবে।

৮৩২ ভরি জব্দকৃত স্বর্ণের মধ্যে শেখ হাসিনার কতটুকু—এ প্রশ্নে তিনি জানান, সম্পদ বিবরণী মিলিয়েই সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।

স্বর্ণগুলো বৈধ না অবৈধ—এ বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক বলেন, “যদি জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না হয়, তাহলেই তা অবৈধ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।” আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow