হাসিনা ও তার পরিবারের দুর্নীতির মামলায় রায় হতে পারে চলতি মাসেই
• দুর্নীতি ও মিথ্যা হলফনামা দিয়ে প্লট বরাদ্দ নেন অভিযুক্তরা • প্লট বরাদ্দে শেখ হাসিনাকে প্রভাবিত করেন টিউলিপ সিদ্দিক• ৬টি মামলার বিচার চলছে ঢাকার দুইটি বিশেষ জজ আদালতে • অধিকাংশ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে • রায়ে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে পূর্বাচলে প্লট নেওয়ার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলার বিচার চলছে ঢাকার দুইটি বিশেষ জজ আদালতে। চলতি মাসেই এসব মামলার রায় হতে পারে। রায়ে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি প্লট বরাদ্দে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এসব অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অভিযোগ, পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা। তারা যেসব প্লট নিয়েছেন, সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশা
• দুর্নীতি ও মিথ্যা হলফনামা দিয়ে প্লট বরাদ্দ নেন অভিযুক্তরা
• প্লট বরাদ্দে শেখ হাসিনাকে প্রভাবিত করেন টিউলিপ সিদ্দিক
• ৬টি মামলার বিচার চলছে ঢাকার দুইটি বিশেষ জজ আদালতে
• অধিকাংশ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে
• রায়ে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা
অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে পূর্বাচলে প্লট নেওয়ার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলার বিচার চলছে ঢাকার দুইটি বিশেষ জজ আদালতে। চলতি মাসেই এসব মামলার রায় হতে পারে। রায়ে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি প্লট বরাদ্দে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এসব অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের অভিযোগ, পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা। তারা যেসব প্লট নিয়েছেন, সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার ছিল না। দুর্নীতি ও মিথ্যা হলফনামা দিয়েই এসব প্লট নিয়েছেন তারা।
মামলার শুরু ও তদন্ত
মামলাগুলোর নথিপত্র অনুযায়ী, ঘটনার শুরু হয়েছিল গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর, যখন দুদক এই প্লট বরাদ্দের অনিয়ম তদন্ত শুরু করে। তদন্তে সংস্থাটি জানতে পারে, পূর্বাচল নতুন শহরের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের আশপাশে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের নামে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
দুদকের অভিযোগ, পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা। তারা যেসব প্লট নিয়েছেন, সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার ছিল না। দুর্নীতি ও মিথ্যা হলফনামা দিয়েই এসব প্লট নিয়েছেন তারা।
এরমধ্যে শেখ হাসিনার নামে ১০ কাঠার প্লট (প্লট নম্বর ৯) রয়েছে, যা রাজউক তাকে ২০২২ সালের ৩ আগস্ট বরাদ্দপত্র দেয়। সজীব ওয়াজেদ জয়ের (প্লট নম্বর ১৫) বরাদ্দপত্র ২০২২ সালের ২৪ অক্টোবর হয় এবং ১০ নভেম্বর মালিকানা-সংক্রান্ত রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়। সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বরাদ্দপত্র দেওয়া হয় ২০২২ সালের ২ নভেম্বর। শেখ রেহানার নামে ১০ কাঠার প্লট (প্লট নম্বর ১৩) বরাদ্দ আছে। রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের প্লট নম্বর ১১ এবং আজমিনা সিদ্দিকের প্লট নম্বর ১৯। প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুদক তাদের বিরুদ্ধে পৃথক ছয়টি মামলা করে।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ফাইল ছবি
চলতি বছরের ১০ মার্চ ছয় মামলায় ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করে দুদক। পরে ৩১ জুলাই থেকে ঢাকার চতুর্থ ও পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
মামলাগুলোর তদন্তে যুক্ত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো নিউজকে বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারের সদস্যদের বাইরে অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও অনিয়মের মাধ্যমে প্লট বরাদ্দসহ বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণের ঘটনা পাওয়া গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন এসব বিষয়েও তদন্ত করেছে। কিছু প্রমাণও হাতে এসেছে।’
হাসিনা-রেহানার পরিবারের বিরুদ্ধে ৬ মামলা
রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে মোট ছয়টি মামলা চলমান রয়েছে। মামলাগুলোতে আসামি করা হয়েছে ২৩ জনকে। আসামিদের তালিকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা ও তাদের পরিবারের সদস্য এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রয়েছেন। এরমধ্যে হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রত্যেকে সর্বোচ্চ ১০ কাঠা আয়তনের প্লট নিয়েছেন অনিয়মের মাধ্যমে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালতে বিচারাধীন তিনটি মামলার একটিতে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকসহ মোট ১৭ জন অভিযুক্ত রয়েছেন। একই আদালতের আরেক মামলায় শেখ রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক, টিউলিপ সিদ্দিক ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন অভিযুক্ত। অপর মামলায় শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন অভিযুক্ত। তিনটি মামলায়ই অভিযুক্তের সহযোগীর তালিকায় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের নাম আছে।
রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সরকারি প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে মোট ছয়টি মামলা চলমান রয়েছে। মামলাগুলোতে আসামি করা হয়েছে ২৩ জনকে। আসামিদের তালিকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা ও তাদের পরিবারের সদস্য এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রয়েছেন। এরমধ্যে হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রত্যেকে সর্বোচ্চ ১০ কাঠা আয়তনের প্লট নিয়েছেন অনিয়মের মাধ্যমে।
এরমধ্যে শেখ রেহানার মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক এসএম রাশেদুল হাসান এবং আজমিনার মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল/ফাইল ছবি
মামলার শুরুতে দুদকের পক্ষ থেকে মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেছিলেন, পূর্বাচল নতুন শহরে প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রভাবিত করেন। এই বিষয়ে দুদকের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
আরও পড়ুন
শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে ১ ডজন মামলা দুদকের, অপেক্ষা করছে আরও
শেখ হাসিনা-রেহানা-টিউলিপসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: রাজউকের সাবেক সদস্য খুরশীদের আত্মসমর্পণ
অপরদিকে, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে বিচারাধীন তিনটি মামলার একটিতে শেখ হাসিনাসহ ১২ জন আসামি রয়েছেন। একই আদালতের আরেক মামলায় শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৭ জন অভিযুক্ত। অপর মামলায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও শেখ হাসিনাসহ মোট ১৮ জন অভিযুক্ত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, সাবেক অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন) মেজর (অব.) ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সাবেক পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, সাবেক উপ-পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
‘অধিকাংশ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখন আইন অনুযায়ী আত্মপক্ষ সমর্থন এবং যুক্তিতর্কের সুযোগ দেওয়া হবে। আমরা আশা করছি, চলতি মাসের মধ্যেই মামলাগুলোর রায় পাবো।’ —মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী, দুদক
বিচার প্রক্রিয়া ও এক আসামির আত্মসমর্পণ
এসব মামলায় আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এরমধ্যে শেখ হাসিনাসহ ১২ জন অভিযুক্তের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। অন্যগুলোর সাক্ষ্যগ্রহণও প্রায় শেষের দিকে। মামলাগুলোতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৬১, ১৬৩, ১৬৪, ১৬৫(ক), ৪০৯, ৪২০ এবং ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ধারাগুলোর মধ্যে ঘুস গ্রহণ, সরকারি দায়িত্বে অবহেলা, সরকারি সম্পদ বা আমানতের অপব্যবহার, প্রতারণা এবং অপরাধ সংঘটনে সহায়তা দেওয়ার বিষয় রয়েছে। এছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায়ও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যার মাধ্যমে অসাধু উপায়ে সম্পদ অর্জন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা/ফাইল ছবি
আরও পড়ুন
শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৬ জনের নামে মামলা
শেখ পরিবারকে প্লট বরাদ্দে ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে
শেখ হাসিনার প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় ২২ কর্মকর্তার সাক্ষ্য
এদিকে মামলায় অভিযুক্ত রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তার আত্মসমর্পণের পর সাক্ষী রিকল (পুনরায়) করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তার আইজীবীরা সাক্ষীদের জেরা করার সুযোগ পাচ্ছেন।
রায় ও অভিযুক্তদের সাজার বিষয়ে যা বলছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা
দুদকের আইনজীবীরা বলছেন, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের সদস্যদের কঠোর শাস্তি হতে পারে। দুদকের পক্ষ থেকে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, আসামিরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন, তারা শাস্তি ভোগ করবেন।
শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও টিউলিপ সিদ্দিক/ফাইল ছবি
তবে আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া চলমান থাকায় কেউ রায়ের বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং সরকারি সম্পদের অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তি হতে পারে।’
‘আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং সরকারি সম্পদের অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তি হতে পারে।’—নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী
দুদকের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘অধিকাংশ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখন আইন অনুযায়ী আত্মপক্ষ সমর্থন এবং যুক্তিতর্কের সুযোগ দেওয়া হবে। আমরা আশা করছি, চলতি মাসের মধ্যেই মামলাগুলোর রায় পাবো।’
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে শেখ হাসিনা ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে/ছবি: ফাইল ছবি
রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে রাজউকের বিধি-৯ লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। বিধিতে বলা আছে, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ বা গাজীপুর এলাকায় কারও প্লট, জমি বা ফ্ল্যাট থাকলে নতুন আবেদন করতে পারবে না। অভিযোগ অনুসারে, অভিযুক্তদের নামে রাজধানীতে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে, যা বিধি লঙ্ঘন হিসেবে ধরা হয়েছে।’
আইনজীবী তারিকুল ইসলাম আরও বলেন, অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ক্ষমতার ব্যবহার সংক্রান্ত অনৈতিকতা এবং রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি অবহেলার বিষয় রয়েছে। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন।
এমডিএএ/এমএমকে/এমএস
What's Your Reaction?