১৫ মাস জেলে থেকেও এতটা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হইনি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ এর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা খাদিজাতুল কুবরা বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১৫ মাস কারাগারে কাটানো সময়ের চেয়েও সাম্প্রতিক কিছু দিনে তিনি বেশি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ অভিযোগ করেন। স্ট্যাটাসে খাদিজা লেখেন, রাজনীতিতে আসার আগে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। কিন্তু মাত্র এক মাসের মধ্যেই তাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার, স্লাট শেমিং, ফেক আইডির বাশিং এবং মানহানিকর কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। এসবকে তিনি ‘নোংরামি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কয়েকজন সাংবাদিক পরিচয়ধারী ব্যক্তি তাকে ফোনকল দিয়ে মিথ্যা অপবাদ, বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। ‘একজন কল দিয়ে যখন কথায় পারে না, পাশ থেকে আরেকজন তাকে শিখিয়ে দিচ্ছে’ এমন দাবি করেন তিনি। সাংবাদিকদের লিবারেল থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করা সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থি। খাদিজা আরও লিখেছ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ এর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা খাদিজাতুল কুবরা বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১৫ মাস কারাগারে কাটানো সময়ের চেয়েও সাম্প্রতিক কিছু দিনে তিনি বেশি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ অভিযোগ করেন।
স্ট্যাটাসে খাদিজা লেখেন, রাজনীতিতে আসার আগে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। কিন্তু মাত্র এক মাসের মধ্যেই তাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার, স্লাট শেমিং, ফেক আইডির বাশিং এবং মানহানিকর কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। এসবকে তিনি ‘নোংরামি’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, কয়েকজন সাংবাদিক পরিচয়ধারী ব্যক্তি তাকে ফোনকল দিয়ে মিথ্যা অপবাদ, বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। ‘একজন কল দিয়ে যখন কথায় পারে না, পাশ থেকে আরেকজন তাকে শিখিয়ে দিচ্ছে’ এমন দাবি করেন তিনি।
সাংবাদিকদের লিবারেল থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করা সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থি।
খাদিজা আরও লিখেছেন, ‘১৫ মাস জেলে থেকেও এতটা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হইনি, যতটা গত কিছু দিনে হয়েছি। আমি কারও সঙ্গে কখনও খারাপ কিছু করিনি। আল্লাহর ওয়াস্তে আপনারা আমাকে নিয়ে নোংরামি করিয়েন না প্লিজ।’
সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নূর নবীর চিকিৎসা সহায়তার জন্য একটি চ্যারিটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়। অস্থি ক্যানসার আক্রান্ত নূর নবী দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন, আর্থিক সংকটে তার চিকিৎসা থমকে আছে।
কনসার্টের মঞ্চে উঠে খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, নূর নবীর জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে আমি ৫০ হাজার টাকা ফান্ড রেইজ করেছি।’
এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কুবরাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা শুরু হয়। কারণ, কনসার্টের অনুমতিপত্রে নির্বাচন কমিশনের শর্ত ছিল— ‘কোনো স্বতন্ত্র বা প্যানেলের প্রার্থী মঞ্চে উঠতে পারবে না।’
এই শর্ত ভঙ্গ করে তিনি মঞ্চে উঠেছেন কি না এ নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। বিভিন্ন পক্ষ থেকে অভিযোগ আসতে থাকে, যা খাদিজার ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করেছে।
তার স্ট্যাটাসে আরও উল্লেখ করেন, রাজনীতিতে এসে পরিবর্তন আনাই ছিল তার লক্ষ্য। কিন্তু নারী রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক মানহানিকর প্রচারণা ও আক্রমণের কারণে তিনি বুঝতে পারছেন কেন অনেক মেয়েই রাজনীতিতে আসতে চান না।
পরে নিজের পোস্টে করা এক মন্তব্যে তিনি স্পষ্ট করেন, তিনি ঢালাওভাবে সব সাংবাদিককে দুষছেন না। বরং নির্দিষ্ট একটি দলের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে যারা কাজ করছেন এবং তাকে বিভিন্নভাবে চাপে রাখার চেষ্টা করছেন শুধু তাদের উদ্দেশে তিনি এসব বলেছেন।
খাদিজা বলেন, তিনি সবসময় নির্যাতিত ও অসহায় মানুষের পাশে ছিলেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। ‘এ যাত্রায় যদি আমার মৃত্যু হয় তবুও আমি পিছপা হবো না’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
টিএইচকিউ/এমআরএম/জেআইএম
What's Your Reaction?