১৯ দেশের গ্রিন কার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন করবে যুক্তরাষ্ট্র, তালিকায় যারা

১৯ দেশের গ্রিন কার্ডধারীদের নথি পুনরায় পরীক্ষা করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলির ঘটনায় ‘উদ্বেগজনক’ দেশগুলোর বিরুদ্ধে প্রশাসন অভিবাসন নীতিতে আরও কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ইউএসসিআইএস পরিচালক জো এডলো বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানান, প্রেসিডেন্টের নির্দেশে উদ্বেগজনক প্রতিটি দেশের প্রত্যেক বিদেশির গ্রিন কার্ডের ব্যাপক ও কঠোর পুনর্মূল্যায়ন শুরু করেছি। তালিকায় যে ১৯ দেশ ইউএসসিআইএস সিএনএনকে জানায়, জুন মাসে প্রকাশিত প্রেসিডেন্টের ঘোষণায় তালিকাভুক্ত ১৯টি দেশই পুনর্মূল্যায়নের আওতায় পড়বে। দেশগুলো হলো— আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেন, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা। হোয়াইট হাউস চলতি বছরের জুন মাসে একটি তালিকা প্রকাশ করে। এ সময় বলা হয়, নিরাপত্তা উদ্বেগ, ভিসা ওভারস্টে রেট এবং বিদেশি নাগরিকদের ‘সন্ত্রাসবাদ ও জননিরাপত্ত

১৯ দেশের গ্রিন কার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন করবে যুক্তরাষ্ট্র, তালিকায় যারা
১৯ দেশের গ্রিন কার্ডধারীদের নথি পুনরায় পরীক্ষা করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলির ঘটনায় ‘উদ্বেগজনক’ দেশগুলোর বিরুদ্ধে প্রশাসন অভিবাসন নীতিতে আরও কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  ইউএসসিআইএস পরিচালক জো এডলো বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানান, প্রেসিডেন্টের নির্দেশে উদ্বেগজনক প্রতিটি দেশের প্রত্যেক বিদেশির গ্রিন কার্ডের ব্যাপক ও কঠোর পুনর্মূল্যায়ন শুরু করেছি। তালিকায় যে ১৯ দেশ ইউএসসিআইএস সিএনএনকে জানায়, জুন মাসে প্রকাশিত প্রেসিডেন্টের ঘোষণায় তালিকাভুক্ত ১৯টি দেশই পুনর্মূল্যায়নের আওতায় পড়বে। দেশগুলো হলো— আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেন, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা। হোয়াইট হাউস চলতি বছরের জুন মাসে একটি তালিকা প্রকাশ করে। এ সময় বলা হয়, নিরাপত্তা উদ্বেগ, ভিসা ওভারস্টে রেট এবং বিদেশি নাগরিকদের ‘সন্ত্রাসবাদ ও জননিরাপত্তা ঝুঁকি’ এ তালিকার প্রধান কারণ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার যে ব্যক্তি দুই গার্ড সদস্যকে গুলি করে, তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির নাম রহমানুল্লাহ লাখানওয়াল। তিনি আফগান নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। এ ঘটনার পরই ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন নীতিতে আরও কঠোর তৎপরতা শুরু করে। লাখানওয়াল ২০২১ সালে ‘অপারেশন অ্যালাইজ ওয়েলকাম’ কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের, এমনকি সিআইএ-এর সঙ্গেও কাজ করেছিলেন। তিনি ২০২৪ সালে আশ্রয় আবেদন করেন এবং ট্রাম্প প্রশাসন ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে তা অনুমোদন করে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ ঘটনার পর আফগান নাগরিকদের সব অভিবাসন আবেদন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের সময়ে অনুমোদিত সব আশ্রয় মামলাও পুনরায় পর্যালোচনা করা হচ্ছে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ২০২১ সালে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯০,হাজারের বেশি আফগান যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসিত হয়েছেন। এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেন, আমাদের দেশে এমন বিপদ বর্তমান—আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে বড় হুমকি। তিনি দাবি করেন, বাইডেন প্রশাসন ২০ মিলিয়ন অজানা ও যাচাইবিহীন বিদেশিকে দেশে প্রবেশ করতে দিয়েছে। ট্রাম্প আরও বলেন, বাইডেনের অধীনে আফগানিস্তান থেকে আসা প্রত্যেক বিদেশিকে পুনরায় পরীক্ষা করতে হবে এবং যে কেউ আমাদের দেশের জন্য ক্ষতিকর, তাকে অপসারণের ব্যবস্থা নিতে হবে। উল্লেখ্য, গ্রিন কার্ড একজন বিদেশিকে যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি আশ্রয় বা শরণার্থী প্রোগ্রাম থেকে আলাদা, যদিও যুক্তরাষ্ট্রে এক বছর থাকা শরণার্থীদের পরে গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করতে হয়।  

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow