৩৬ জুলাই টেবিলের নিচের রাজনীতির কবর রচনা হয়েছে: শিবির সভাপতি

৫ আগস্টেই বাংলাদেশে কন্সপাইরেসি (ষড়যন্ত্র), আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিক্স, টেবিলের নিচের রাজনীতির কবর রচনা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী কলেজ মাঠে ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। ছাত্রশিবিরের রাজশাহী কলেজ শাখা অনার্স ১ম বর্ষ ও এইচএসসি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই আয়োজন করে। জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হয়। তবে তিনি মনে করেন, আদর্শিক স্পষ্টতা এবং দীর্ঘদিনের লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতির গুণগত পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছে এবং তা গ্রহণ করছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যখন আমাদেরকে এভাবে গ্রহণ করছেন, তখন একটা শ্রেণির মধ্যে অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমরা তাদেরকেও বলেছি, আসেন ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করি। এর মাধ্যমে সমাজে একটা সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়ে যাবে। কিন্তু যখন ভালোর বিপরীতে খারাপের প্রতিযোগিতা হয় তখনই তো সেখানে সামাজিক কনফ্লিক্ট তৈরি হয়। তিনি বলেন, ছাত্রশিবিরের এই নবীন বরণ আটকাতে অনেক কন্সপাইরেসি (ষড়যন্ত্র) হয়েছে। এই নবীনবরণ আটক

৩৬ জুলাই টেবিলের নিচের রাজনীতির কবর রচনা হয়েছে: শিবির সভাপতি

৫ আগস্টেই বাংলাদেশে কন্সপাইরেসি (ষড়যন্ত্র), আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিক্স, টেবিলের নিচের রাজনীতির কবর রচনা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী কলেজ মাঠে ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। ছাত্রশিবিরের রাজশাহী কলেজ শাখা অনার্স ১ম বর্ষ ও এইচএসসি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই আয়োজন করে।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হয়। তবে তিনি মনে করেন, আদর্শিক স্পষ্টতা এবং দীর্ঘদিনের লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতির গুণগত পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছে এবং তা গ্রহণ করছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যখন আমাদেরকে এভাবে গ্রহণ করছেন, তখন একটা শ্রেণির মধ্যে অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমরা তাদেরকেও বলেছি, আসেন ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করি। এর মাধ্যমে সমাজে একটা সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়ে যাবে। কিন্তু যখন ভালোর বিপরীতে খারাপের প্রতিযোগিতা হয় তখনই তো সেখানে সামাজিক কনফ্লিক্ট তৈরি হয়।

তিনি বলেন, ছাত্রশিবিরের এই নবীন বরণ আটকাতে অনেক কন্সপাইরেসি (ষড়যন্ত্র) হয়েছে। এই নবীনবরণ আটকিয়ে আপনারা কি উপকার করবেন? কি লাভ করবেন? বরং আপনি আগামীকাল বা আগামী সপ্তাহে এখানে এর চেয়ে বড় একটা নবীনবরণ আয়োজন করুন। আমরা এই রাজনীতি চাই। আমাদের ভুলগুলো ধরিয়ে দিবেন। আমি কেন ছাত্রশিবির করব? আমরা কাউকে ছাত্রশিবির করতেই হবে, এটা বলবো না। ছাত্রশিবির যদি আপনার কাছে ভালো মনে হয়, আপনার লাইফের জন্য যদি কোনো উপকার মনে হয় তাহলে আপনি ছাত্রশিবির করবেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহিদুল ইসলাম উপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ছাত্রসংসদ নির্বাচনে শিবির প্যানেলের নিরঙ্কুশ বিজয়ের কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যখন আমাদেরকে সামনাসামনি দেখছে, তখন আমাদের সম্পর্কে প্রচলিত প্রোপাগান্ডা নিয়ে মনের মধ্যে থাকা ভুল ভেঙে গেছে।

ছাত্রশিবিরের আয়ের উৎস প্রসঙ্গে জাহিদুল বলেন, সংগঠনের মূল আয়ের উৎস হচ্ছে জনশক্তির দান। কেন্দ্রীয় সভাপতি থেকে শুরু করে ইউনিট পর্যায়ের একজন কর্মী পর্যন্ত-প্রত্যেক সদস্যই নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সংগঠনকে দান করে থাকেন। ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্রশিবির প্রায় ৪৮ বছরের পথ অতিক্রম করেছে। এই সময়ে সংগঠনের বিপুলসংখ্যক সাবেক সদস্য দেশের প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে অবস্থান করছেন। অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্র থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য, চিকিৎসা থেকে প্রশাসন, দেশ-বিদেশের এমন কোনো প্রভাবশালী অঙ্গন নেই যেখানে ছাত্রশিবিরের সাবেক কেউ না কেউ নেই। তারা সংগঠনকে সমৃদ্ধ করার জন্য নিয়মিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

তিনি বলেন, ছাত্রশিবিরের ব্যয়ে স্বচ্ছতা বজায় থাকে এবং বরাদ্দকৃত অর্থ পুরোপুরি কার্যক্রমে ব্যবহার করা হয়। অন্য সংগঠনগুলো কোনো উৎস থেকে দশ টাকা পেলে তার দুই টাকা কার্যক্রমে ব্যবহার করে, আর বাকি আট টাকা বিভিন্ন পকেটে চলে যায়। কিন্তু ছাত্রশিবিরের বাস্তবতা ভিন্ন। কোনো প্রোগ্রামের জন্য দশ টাকা বরাদ্দ হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নিজের পকেট থেকে দুই টাকা অতিরিক্ত যোগ করে বারো টাকা দিয়ে পুরোপুরি কার্যক্রমে ভালোভাবে ব্যয় করেন। এতে সংগঠনের কাজের ওপর বরকত আসে।

রাজশাহী কলেজ শাখার সভাপতি মাহমুদুল হাসান মাসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন ডাকসুর ভিপি ও শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় ফাউন্ডেশন সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় মানবাধিকার সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগরের সাবেক সভাপতি মো. সিফাত আলম, রাকসু ভিপি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি, রাজশাহী মহানগর সভাপতি মোহা. শামীম উদ্দীন।

রাজশাহী কলেজ শিবিরের সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সাখাওয়াত হোসেন/কেএইচকে/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow