৪৪ উপজেলায় চালু হলো পাবলিক লাইব্রেরি
দেশের ১১ জেলার ৪৪টি উপজেলায় উপজেলা পরিষদের অধীনে পাবলিক লাইব্রেরি উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া লাইব্রেরি উদ্বোধন করেন। এর আগে গত ১৯ জুন এসব লাইব্রেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন করেছিলেন উপদেষ্টা। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা পাবলিক লাইব্রেরি নির্মাণের কার্যক্রম হাতে নেয়। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্ধারিত ডিজাইন ও প্রাক্কলন অনুযায়ী লাইব্রেরি নির্মাণ করা হয়েছে। রংপুর বিভাগের রংপুর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা জেলার ৪১টি উপজেলায়, ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা এবং খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলাসহ সর্বমোট ৪৪টি উপজেলায় এ পাবলিক লাইব্রেরি নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি লাইব্রেরি নির্মাণের জন্য ব্যয় হয়েছে ৫৩ লাখ টাকা। ৪৪টি লাইব্রেরি স্থাপনের মোট ব্য
দেশের ১১ জেলার ৪৪টি উপজেলায় উপজেলা পরিষদের অধীনে পাবলিক লাইব্রেরি উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া লাইব্রেরি উদ্বোধন করেন। এর আগে গত ১৯ জুন এসব লাইব্রেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন করেছিলেন উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা পাবলিক লাইব্রেরি নির্মাণের কার্যক্রম হাতে নেয়। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্ধারিত ডিজাইন ও প্রাক্কলন অনুযায়ী লাইব্রেরি নির্মাণ করা হয়েছে।
রংপুর বিভাগের রংপুর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা জেলার ৪১টি উপজেলায়, ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা এবং খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলাসহ সর্বমোট ৪৪টি উপজেলায় এ পাবলিক লাইব্রেরি নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি লাইব্রেরি নির্মাণের জন্য ব্যয় হয়েছে ৫৩ লাখ টাকা। ৪৪টি লাইব্রেরি স্থাপনের মোট ব্যয় হয়েছে ২৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, এমন জায়গাগুলোতে লাইব্রেরি নির্মাণ করা হয়েছে যেখানে শিক্ষার হার জাতীয় গড় হারের তুলনায় কম। লাইব্রেরি নির্মাণ সেখানে শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বর্তমান সরকার চেষ্টা করছে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন বৈষম্য কমাতে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, লাইব্রেরি শুধু বই রাখার স্থান নয়, আমরা প্রত্যাশা করি এগুলো জ্ঞানচর্চার, গবেষণা, সৃজনশীল চিন্তার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। শিক্ষার্থীরা এখানে শুধু বই পড়বে না বরং বইকে ভালোবাসবে, জ্ঞানকে আত্মস্থ করবে এবং দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলবে।
লাইব্রেরিগুলোতে নতুন পদ সৃজনের প্রক্রিয়া চলমান আছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে পদগুলো সৃজন হবে এবং প্রকৃত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে লাইব্রেরিগুলো পরিচালিত হবে। এর আগে পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় লাইব্রেরিগুলো পরিচালনা করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘লাইব্রেরিতে বইসহ আরও আনুষঙ্গিক যে সব জিনিস কেনার প্রয়োজন হবে, সেজন্য আমরা ৪৪টি উপজেলা পরিষদকে আমাদের স্থানীয় সরকারের যে বিশেষ বরাদ্দ আছে সেখান থেকে পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করব।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/এমআইএইচএস/জেআইএম
What's Your Reaction?