৬ মাসেই ধসে গেছে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নে ১১ কোটি ৩৫ লাখ ২২ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি গার্ডার সেতুর সংযোগ সড়ক ৬ মাসের মধ্যেই ধসে পড়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে দায়সারাভাবে নির্মাণ করার ফলে সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কে এই ধস নামে। এতে চলাচলে ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে। এলাকাবাসী দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের ঘোড়ামারা বাজার সংলগ্ন ঝিনাই শাখা নদীর ওপর ‘প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেস’ প্রকল্পের আওতায় ১৪০ মিটার গার্ডার সেতু ও দু’পাশে ৩৫০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়। সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এই প্রকল্পের কাজ করে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক চৌধুরীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ। স্থানীয় মেম্বার শাকিল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করার সময় এলাকাবাসী বাধা দিলেও আ.লীগের ঠিকাদার ফারুক চৌধুরীর লোকজন ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কাজটি সম্পন্ন করে। এর ৬/৭ মাসের মাথায়, বছর না যেতেই সংযোগ সড়কের ধস নামে। বর্তমানে যানবাহন ও পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হ

৬ মাসেই ধসে গেছে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নে ১১ কোটি ৩৫ লাখ ২২ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি গার্ডার সেতুর সংযোগ সড়ক ৬ মাসের মধ্যেই ধসে পড়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে দায়সারাভাবে নির্মাণ করার ফলে সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কে এই ধস নামে। এতে চলাচলে ঝুঁকি বাড়ার পাশাপাশি প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে। এলাকাবাসী দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের ঘোড়ামারা বাজার সংলগ্ন ঝিনাই শাখা নদীর ওপর ‘প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেস’ প্রকল্পের আওতায় ১৪০ মিটার গার্ডার সেতু ও দু’পাশে ৩৫০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়।

সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এই প্রকল্পের কাজ করে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক চৌধুরীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ।

স্থানীয় মেম্বার শাকিল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করার সময় এলাকাবাসী বাধা দিলেও আ.লীগের ঠিকাদার ফারুক চৌধুরীর লোকজন ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কাজটি সম্পন্ন করে। এর ৬/৭ মাসের মাথায়, বছর না যেতেই সংযোগ সড়কের ধস নামে। বর্তমানে যানবাহন ও পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, ২০২৩ সাল থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সেতুর কাজ করে চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ। সংযোগ সড়ক ধসে গেছে, এ ব্যাপারে ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। ঠিকাদার সংস্কার করে দেবেন বলে জানিয়েছেন। আশা করি, দ্রুত সংস্কার করা হবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow