৮০ ফুট উঁচু ক্রিসমাস ট্রি দেখতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

আকাশচুম্বী ডালপালাগুলো ছেয়ে গেছে হাজারো আলোকবিন্দুতে। ঝকঝকে সব রঙিন বল, মাটির ঘণ্টা আর ছোট ছোট সান্তা ক্লজের পুতুলের আড়ালে যেন ঢাকা পড়েছে তার আদিম ছাল-বাকল। ওপরের দিকে তাকালে মনে হয়, মাটির পৃথিবীতে নেমে এসেছে মায়াবী কোনো নক্ষত্রপুঞ্জ। বিশালাকার এই মহীরুহকে ঘিরে এখন উৎসবের আমেজ, যা দেখতে ভিড় করছেন শত শত মানুষ। বিস্ময়কর এই দৃশ্যটি ভারতের কেরালা রাজ্যের পর্যটন শহর ফোর্ট কোচির। সেখানে একটি প্রাচীন রেইন ট্রি গাছকে কেন্দ্র করেই জমে উঠেছে বড়দিনের উদযাপন। স্থানীয়দের কাছে গাছটি পরিচিত মাদার অব অল ক্রিসমাস ট্রি বা সব বড়দিনের গাছের মা হিসেবে। প্রায় ৮০ ফুট উচ্চতার এই গাছটিকে ভারতের বৃহত্তম প্রাকৃতিক বড়দিনের গাছ বলে বিবেচনা করা হয়। এবারের উৎসবটি এই গাছের জন্য আরও বিশেষ। কারণ, ২০২৪-২৫ সালে সাজসজ্জার ২৫ বছর বা রজতজয়ন্তী পূর্ণ করল এটি। এর পেছনের গল্পটি বেশ আবেগের। ২০০০ সালে স্থানীয় নাইটস ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাবের একদল তরুণ, যারা এই গাছের নিচেই শৈশবে ক্রিকেট খেলে বড় হয়েছে, তারা শখের বশে এটি সাজানো শুরু করে। ক্লাবের সম্পাদক সানোজ পিএস জানান, তাদের দুষ্টুমি আর বেড়ে ওঠার সাক্ষী এই গাছটি আজ কোচির ঐতিহ্

৮০ ফুট উঁচু ক্রিসমাস ট্রি দেখতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়
আকাশচুম্বী ডালপালাগুলো ছেয়ে গেছে হাজারো আলোকবিন্দুতে। ঝকঝকে সব রঙিন বল, মাটির ঘণ্টা আর ছোট ছোট সান্তা ক্লজের পুতুলের আড়ালে যেন ঢাকা পড়েছে তার আদিম ছাল-বাকল। ওপরের দিকে তাকালে মনে হয়, মাটির পৃথিবীতে নেমে এসেছে মায়াবী কোনো নক্ষত্রপুঞ্জ। বিশালাকার এই মহীরুহকে ঘিরে এখন উৎসবের আমেজ, যা দেখতে ভিড় করছেন শত শত মানুষ। বিস্ময়কর এই দৃশ্যটি ভারতের কেরালা রাজ্যের পর্যটন শহর ফোর্ট কোচির। সেখানে একটি প্রাচীন রেইন ট্রি গাছকে কেন্দ্র করেই জমে উঠেছে বড়দিনের উদযাপন। স্থানীয়দের কাছে গাছটি পরিচিত মাদার অব অল ক্রিসমাস ট্রি বা সব বড়দিনের গাছের মা হিসেবে। প্রায় ৮০ ফুট উচ্চতার এই গাছটিকে ভারতের বৃহত্তম প্রাকৃতিক বড়দিনের গাছ বলে বিবেচনা করা হয়। এবারের উৎসবটি এই গাছের জন্য আরও বিশেষ। কারণ, ২০২৪-২৫ সালে সাজসজ্জার ২৫ বছর বা রজতজয়ন্তী পূর্ণ করল এটি। এর পেছনের গল্পটি বেশ আবেগের। ২০০০ সালে স্থানীয় নাইটস ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাবের একদল তরুণ, যারা এই গাছের নিচেই শৈশবে ক্রিকেট খেলে বড় হয়েছে, তারা শখের বশে এটি সাজানো শুরু করে। ক্লাবের সম্পাদক সানোজ পিএস জানান, তাদের দুষ্টুমি আর বেড়ে ওঠার সাক্ষী এই গাছটি আজ কোচির ঐতিহ্যের অংশ। এবার গাছটি সাজাতে অন্তত ১ হাজার ৫০০টি মরিচ বাতি ব্যবহার করা হয়েছে, আর চূড়ায় বসানো হয়েছে বিশাল এক তারা। শৈশবের সেই আড্ডা আর বন্ধুত্বের স্মৃতি আজ দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow