বুধবার (৭ জুন) সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. শঙ্কর কুমার সান্যালের নেতৃত্বে বাংলাদেশে গান্ধীবাদী প্রতিনিধিদলটি স্পিকারের কার্যালয়ে যায়।
সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, বঙ্গবন্ধু ও গান্ধীর আদর্শ ও দর্শন, ধর্মনিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িকতা, শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষে একত্রে কাজ করে যাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: মুহিতের পরিকল্পনায় গতি পেয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি: স্পিকার
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবন শান্তির জন্য কাজ করেছেন। এ জন্য তিনি জুলিও কুরি পুরস্কার পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। সংবিধানেও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধু ও মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ ও দর্শন ধারণ করে সবাইকে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যেতে হবে।
এ সময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সমর্থন ও সহযোগিতা করার জন্য ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ ভারতীয় জনগণকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
শঙ্কর কুমার সান্যাল বলেন, হরিজন সেবক সংঘ হিন্দু-মুসলিম, উচ্চ ও নিম্নবর্ণের সৌহার্দ ও সম্প্রীতি তৈরি এবং অস্পৃশ্যতা নিবারণ করতে কাজ করে চলেছে। এ সংঘের লক্ষ্য সারা পৃথিবীতে শান্তি ছড়িয়ে দেয়া। এ জন্য তারা বঙ্গবন্ধু এবং মহাত্মা গান্ধীকে উপলক্ষ করে পিস ভিজিটে বাংলাদেশে এসেছেন।
তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধী বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং এ সংঘ ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীকে সুদৃঢ় করার জন্য নিরলস কাজ করে যাবে। এ সময় সংঘের পক্ষ থেকে সভাপতি স্পিকারকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গ্রেফতার জামায়াত-শিবিরের ১০ নেতাকর্মী কারাগারে
সাক্ষাৎকালে মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি, নুরুন্নবী চৌধুরী এমপি, আহমেদ ফিরোজ কবির এমপি, আরমা দত্ত এমপি, রুমানা আলী এমপি, অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপিসহ হরিজনের প্রতিনিধিদলের সদস্য শ্রীমতী শিখা সান্যাল, শ্রী লক্ষ্মী দাস, শ্রী নরেশ যাদব, শ্রী রাজু ভাই পারমার, শ্রী কুনওয়ার শেখর বিজেন্দ্র প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।