ইসলামপুরে ২৫০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট

2 months ago 85
জামালপুরের ইসলামপুরে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় ভেসে উঠেছে ক্ষত। রাস্তাঘাটের পাশাপাশি কৃষিতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় ২৫০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএলএম রেজুয়ান আহমেদ এ তথ্য জানান। তবে কৃষকরা বলছেন, বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষি অফিস থেকে তাদের আমন বীজ, সার বা কোনো প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। এদিকে ক্ষেত থেকে পানি নেমে যাওয়ার পর থেকেই বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা আমন চারা রোপণ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গতকাল সোমবার উপজেলার অনেক স্থানে কৃষকদের রোপা আমন ধানের চারা লাগাতে দেখা গেছে। নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন তারা। উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১ হাজার ৩৭০ কৃষকের ২৫০ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান নষ্ট হয়েছে। পৌর শহরের পূর্ব ভেংগুড়া এলাকায় আব্দুল বারেক বলেন, আমরা কৃষকরা চাষাবাদ করে সংসার চালাই। আমি বাইশ হাজার টাকা খরচা করে সাড়ে তিন বিঘা জমিতে রোপা ধান লাগাই। বন্যা এসে আমার সব ধান নষ্ট করে দিয়েছে। টাকা ধারদেনা করে আবার রোপা আমন ধানের চারা লাগাচ্ছি। চিনাডুলি ইউনিয়নের বামনা এলাকার শহিজল মিয়া বলেন, ধারদেনা করে দুই বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম। বানের পানি এসে সব নষ্ট হয়েছে। ছোট মেয়ের জামাইয়ের কাছে টাকা হাওলাত নিয়ে নতুন করে চাষ করছি। ওই এলাকার সাগর মিয়া, সোহাগ, আমজলসহ একাধিক কৃষক বলেন, প্রণোদনা তো দূরের কথা, কৃষি অফিস থেকে কেউ খোঁজখবরও নেইনি। এবাবের বন্যায় আমাদের কত টাকা ক্ষতি হয়েছে সেটি আমরাই জানি। প্রণোদনার বিষয়ে ইসলামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএলএম রেজুয়ান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করে জেলায় পাঠিয়েছি। তবে এ মুহূর্তে কৃষকদের চারা দেওয়া সম্ভব না। কারণ রোপা আমনের বীজ রোপণ করতে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। তাই তারা পিছিয়ে পড়বে। তা ছাড়া সামনে রবি মৌসমের (সরিষা, গম, ভুট্টা বোরো ধান) প্রণোদনা আসবে। তখন তাদের অগ্রধিকার দেওয়া হবে। এদিকে জামালপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাকিয়া সুলতানা জানান, পুরো জেলার বন্যায় কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, সঠিক তথ্য দিতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।
Read Entire Article