
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন। এরপর থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা ৪৬৩ দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাতের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।
ইউক্রেনের জেনারেলের প্রসিকিউটির অফিস আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪৮৪ জন শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৯৯২ জন। এছাড়া দুই হাজার পাঁচ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে ২৫৬টি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ১৯ হাজার ৫০০ এর বেশি ইউক্রেনীয় শিশুকে রাশিয়ায় বা দেশটির দখলে যাওয়া ভূখণ্ডে জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ বিপজ্জনক মোড়ে অবস্থান করছে। সহসা এই যুদ্ধ বন্ধের কোনো লক্ষণ নেই।

শুধু গত মাসেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভেই ১৭ বার সিরিজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী। অন্যদিকে সম্প্রতি রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে বিরল ড্রোন হামলা হয়েছে। এ হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে রাশিয়া।
সেইসঙ্গে দেশটি এ হামলার কড়া জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ার বার্তা দিয়েছে। এ ছাড়া ইউক্রেন সীমান্তবর্তী রুশ অঞ্চলেও হামলার পরিমাণ বেড়েছে। এসব হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে আসছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন: রুশ ভূখণ্ডে ‘ব্যাপক হামলা’
এ ছাড়া ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি তাদের সম্পন্ন। যেকোনো মুহূর্তে তারা পাল্টা আক্রমণ শুরু করবে।