দেশের প্রথম বেসরকারি মালিকানাধীন কনটেইনার টার্মিনাল, আরএসজিটি বাংলাদেশ, গর্বের সঙ্গে তার টার্মিনাল অবকাঠামোতে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে।
সম্প্রতি ১৪টি রাবার টায়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন (আরটিজি)-এ ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পর, আরএসজিটি বাংলাদেশ আবারও ৪টি অত্যাধুনিক শিপ-টু-শোর (এসটিএস) ক্রেনে প্রায় ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
সানি মেরিন হেভি ইন্ডাস্ট্রি থেকে ক্রয়কৃত নতুন এসটিএস ক্রেনগুলো নির্মাণে ব্যবহৃত উন্নতমানের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন আরএসজিটি বাংলাদেশকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা বৃহত্তম মালবাহী জাহাজগুলোকে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। এই এসটিএস ক্রেনগুলো ২০২৬ সালের শুরুর দিকে স্থাপন করা হবে এবং এর মাধ্যমে আরএসজিটি বাংলাদেশের বার্ষিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা ২৫০,০০০ টিইইউ (টুয়েন্টি-ফুট ইকুয়িভ্যালেন্ট ইউনিট) থেকে ৬০০,০০০ টিইইউ-এ বর্ধিত করবে যা এর পরিচালনার দক্ষতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে এবং লজিস্টিক খরচ কমিয়ে দেবে।
চুক্তিটি চীনের গুয়াংডং প্রদেশের ঝুহাইয়ের গাওলাংগাং বাণিজ্যিক অঞ্চলের সানি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মেকানিক্যাল ম্যানেজার আলতাফুল আজম, প্রকৌশল বিভাগের প্রধান (আরএসজিটি চট্টগ্রাম) ফেরদৌস রহমান, টেকনিক্যাল প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টের প্রধান (আরএসজিটি জেদ্দা) কোয়ান হি. হান, আরএসজিটি চট্টগ্রাম সিইও অ্যারউইন হেইজ, সানি-এর জেনারেল ম্যানেজার চেন জিং, বিদেশি বিক্রয় বিভাগের জিএম ট্যাং ওয়েইবিন, গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের ভাইস ডিন এলভি গুওজেন, মেনা-এর ডেপুটি জিএম টং লিচাও।
আরএসজিটি বাংলাদেশের সিইও অ্যারউইন হেইজ বলেন, ‘সম্প্রতি ১৪টি আরটিজি ক্রেন-এ বিনিয়োগের পর, নতুন এসটিএস ক্রেনে বিনিয়োগ চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল পরিচালনায় উন্নয়নের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি যেমন অপারেশনাল দক্ষতা বাড়াবে, একইসাথে বাণিজ্যে সাপ্লাই চেইনের খরচ কমাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রাম বন্দরের অগ্রগতি এবং উন্নয়নে অত্যন্ত আনন্দিত। কাজের দক্ষতা নিশ্চিত করতে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়, এনবিআর, কাস্টমস এবং ইন্ড্রাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনসহ অন্যান্য সংস্থা, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং এই টার্মিনালের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। দেশের প্রথম বেসরকারি টার্মিনাল হিসেবে আমরা বাংলাদেশের ম্যারিটাইম অবকাঠামোর ও লজিস্টিকের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’