অধিগ্রহণ হচ্ছে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের জমি

9 hours ago 9

প্রতিষ্ঠার প্রায় সাত বছর পর ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত কাজ শুরু হয়েছে। জমির শ্রেণি যাচাই-বাছাই শেষে ওই এলাকায় মোট ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের নিজ গাছতলা গ্রামে ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে পূর্ব দিকে দেওয়ানবাড়ি পর্যন্ত ডাকাতিয়া নদীর পাড়ের জমির শ্রেণি সঠিক আছে কি না, তা সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। 

পরিদর্শন শেষে এসব তথ্য জানান চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) একরামুল সিদ্দিক। তিনি বলেন, এর আগেও জমির শ্রেণি যাচাই করা হয়েছিল। এবার নিজস্ব সার্ভেয়ারদের মাধ্যমে আরও বিস্তারিতভাবে যাচাই করা হচ্ছে। কারণ এটি ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের সঙ্গে জড়িত। যাচাই শেষে প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে এবং পরে প্রাক্কলন তৈরি করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দুটি মৌজায় মোট ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে।

চূড়ান্ত পর্যায়ের এই যাচাই-বাছাইয়ে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রকল্প পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ এবং সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পি দত্ত রনি।

সহকারী প্রকল্প পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, ২০১৮ সালে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পর ইতোমধ্যে দুটি ব্যাচের শিক্ষার্থী সফলভাবে কোর্স সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে সদর হাসপাতালে কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, যার ফলে জেলা ও আশপাশের রোগীরা উন্নত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। ভূমি অধিগ্রহণের এই চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজের মাধ্যমে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের স্বপ্ন এখন বাস্তবায়নের পথে।

তিনি আরও বলেন, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের নিজস্ব ভবন নির্মাণ হলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে এবং জেলার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় নতুন অধ্যায় সূচিত হবে।

Read Entire Article