অধিনায়ক হিসেবে মিরাজের বাজিমাত
নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ইনজুরিতে থাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পান মেহেদী হাসান মিরাজ। দায়িত্ব নিয়েই যেন বাজিমাত করলেন তিনি। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে সমতায় শেষ হয় সিরিজ। ক্যারিবিয়ান মাটিতে ১৫ বছর পর টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ।
বিসিবির প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে মিরাজ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো লাগছে। প্রথম ম্যাচ হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছি। এটি আমার জন্য বড় অর্জন। প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্ব করছি, আর সেটি ক্যারিবিয়ান মাটিতে- এটা অবশ্যই আমার জন্য বিশেষ কিছু।’
তিনি আরও বলেন, ‘জয়ের কৃতিত্ব দিতে চাই দলের সব খেলোয়াড়কে। যেভাবে আমি পরিকল্পনা দিয়েছি, সবাই তা অনুসরণ করেছে। কন্ডিশন খুব একটা সহজ ছিল না, তবে মানসিকভাবে সবাই ম্যাচ জেতার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল। দলীয় প্রচেষ্টার কারণেই আমরা এই জয় তুলে নিতে পেরেছি।’
দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ দলের আক্রমণাত্মক মানসিকতার পেছনের কারণও ব্যাখ্যা করেন মিরাজ। তিনি বলেন, ‘আমি খেলোয়াড়দের বার্তা দিয়েছিলাম ইতিবাচক চিন্তা করতে। প্রথম ইনিংসে ১৮ রানের লিড পাওয়ার পর জানতাম, এই উইকেটে ২৫০ রান করতে পারলে ম্যাচটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আসবে। তাই সবাইকে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার পরামর্শ দিয়েছিলাম।’
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটারদের লড়াকু মনোভাবের পাশাপাশি বোলারদের ভূমিকার প্রশংসা করেন মিরাজ। ‘প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে অলআউট হওয়ার পরও আমরা হতাশ হইনি। নাহিদ রানা, তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদের দারুণ বোলিংয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল ইসলাম ৫ উইকেট নিয়েছে। দলের এই পারফরম্যান্সই আমাদের জয়ের পথে নিয়ে গেছে,’ বলেন তিনি।
ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেও মিরাজ তুলে ধরেন দলের ইতিবাচক মানসিকতা। ‘আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উন্নতির পথে আছি। মাঝে মাঝে ভুল করব, কিন্তু সেই ভুল থেকেই শিখব।’
এই ঐতিহাসিক জয়ে বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ যাত্রা শেষ হলো গর্বের সঙ্গে। এখন দলটি ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত হতে চায়।