নারী জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব ছাড়তে চান সাবিনা খাতুন। পরিস্থিতি যাই হোক, অধিনায়কত্বের ভার কাঁধ থেকে নামিয়ে ফেলবেন বলে জানিয়েছেন ৩১ বছর বয়সী ফুটবলার।
নারী ফুটবলের চলমান সঙ্কটে সামাজিক যোগাযো গমাধ্যমে আক্রমণের শিকার হচ্ছেন পিটার বাটলারকে বয়কট করা ১৮ নারী ফুটবলার। এ ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে সাবিনা খাতুনকে ‘নাটের গুরু’ বলা হচ্ছে। যাতে বিরক্ত সাবিনা এবং অন্যান্য নারী ফুটবলার। দলের অন্যতম সদস্য মাতসুশিমা সুমাইয়াকে তো প্রাণনাশ এবং হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে! এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।
নারী ফুটবল নিয়ে চলমান আলোচনা, সমালোচনার মাঝেই অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে সাবিনা খাতুন বলেছেন, ‘বয়কট ইস্যুর সমাধান হলেই আমি অধিনায়ত্ব ছেড়ে দেব।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নানা দাবীর প্রসঙ্গে সাবিনা খাতুন বলেছেন, ‘যারা নানা ভিত্তিহীন কথা বলেছেন বা লিখেছেন; আমি তাদের বিরুদ্ধে আমি লিগ্যাল অ্যাকশনে যাবো।’
নারী ফুটবলে চলমান সঙ্কট নিরসনে বিশেষ কমিটির প্রতিবেদন পেয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ এম আউয়াল। সম্প্রতি তিনি নারী ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলেছেন, কঠোর অবস্থান থেকে ফিরে আসার অনুরোধ করেছেন। তাতেও জটিলতার বরফ গলেনি।
এ প্রসঙ্গে সাবিনা খাতুন বলেছেন, ‘আমরা নিজেদের কথা পরিষ্কার করে বাফুফে সভাপতি (তাবিথ এম আউয়াল)-কে বলেছি। কঠোর অবস্থান থেকে ফিরে আসা কেন সম্ভব না—তাও জানিয়েছি।’