রোববার বিকেলে যখন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টুর অসুস্থ হয়ে সিসিইউতে ভর্তি হওয়ার খবর আসে তখন থেকেই ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের মধ্যে শুরু হয় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সকালেও অনেকে জাকারিয়ার স্বাস্থের খবর নিয়েছেন। এরই মধ্যে বেলা পৌনে ১২ টার দিকে আসে চরম দুঃসংবাদটি- জাকারিয়া পিন্টু চলেই গেছেন না ফেরার দেশে।
সিসিইউতিকে চিকিৎসারত অবস্থায়ই স্ট্রোক করেন তিনি। তার আগের রাত থেকেই তার কিডনি ও হার্টের জটিলতা বাড়ছিল। ডাক্তাররা প্রাণপন চেষ্টা করেও এই কিংবদন্তিকে বাঁচাতে পারেননি। এক ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে চিরবিদায় নেন ক্রীড়াঙ্গনে অধিনায়ক হিসেবে পরিচিত এই তারকা ফুটবলার।
জাকারিয়া পিন্টু কেবল একজন ফুটবলারই ছিলেন না, তিনি ছিলেন দেশের খেলাধুলার একটি ইতিহাস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন রাজ্যে ফুটবল ম্যাচ খেলে প্রাপ্ত অর্থ স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল তুলে দিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের তহবিলে।
এই কিংবদন্তির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্রীড়াঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া। সাড়া জীবন কাটিয়ে দেওয়া তার প্রিয় ক্লাব মোহামেডান, দেশের আরেক ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আবাহনী, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ), বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশন, বাংলাদেশ রাগবি ফেডারেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি জাকারিয়া পিন্টুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছে।
আরআই/আইএইচএস/