বগুড়ায় অনলাইনে জুয়া খেলার টাকা লেনদেন দ্বন্দ্বে রাসেল আহমেদ (২৮) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৩ আগস্ট) দিনগত রাত পৌনে ১২টার দিকে সদর উপজেলার চক সরতাজ সুলতানপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রাসেল উপজেলার সাবগ্রাম ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকার আবু বক্করের ছেলে। তিনি বগুড়া ডায়াবেটিস হাসপাতালে ওয়ার্ড বয় হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সিয়াম (১৭) নামে এক কিশোরকে ঢাকা পালিয়ে যাওয়ার সময় সিরাজগঞ্জ রোড থেকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আটক সিয়ামকে নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রাসেলের স্ত্রী রিপা আকতার জানান, রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়েন রাসেল। মধ্যরাতে প্রতিবেশী কিশোর সিয়াম পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে তার ম্যাসেঞ্জারে কল করে বাড়ির বাইরে যেতে বলেন। এরপর বাড়ির পাশের খোলা মাঠে নিয়ে গিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে বুক ও পিঠে উপর্যপুরি আঘাত করে সিয়াম। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে লুটিয়ে পড়েন রাসেল। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশী আমিনুল ইসলাম জানান, রাতে চিৎকার শুনে বাহিরে এসে ঘটনাটি জানতে পারি। আমার এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।
প্রতিবেশী ফুয়াদ হাসান জানান, অনলাইন জুয়ার কারণে এ ঘটনা একটি তাজা প্রাণ হারিয়ে গেল। আমরা প্রশাসনের কাছে এ জুয়া বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
বগুড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর জানান, ঘটনার পর ঢাকায় পালানোর পথে অভিযুক্ত সিয়ামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে। নিরাপত্তায় তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে সিয়ামের দেখানো স্থান থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়।
মোস্তফা মঞ্জুর জানান, অনলাইনে একাধিক অ্যাপসে একসঙ্গে জুয়া খেলতেন রাসেল ও সিয়াম। প্রায় এক মাস আগে জুয়া খেলায় সিয়ামের কাছে পাওনা ২২ হাজার টাকা দাবি করে তাকে চাপ দিতে থাকেন রাসেল। এ নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যার ঘটান ঘটে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এল.বি/আরএইচ/জেআইএম