অনেকেই ভূমিকম্প টের পান না, কিন্তু কেন?

ঢাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্র ছিল ৫ দশমিক ৭। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদীতে। ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ ঘর ছেড়ে রাস্তায় এসে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউবা ছিলেন বাসে, আবার কেউ ঘরে থেকেও ভূমিকম্প অনুভব করেননি। এমন অনেকের কাছেই শুনবেন ভূমিকম্প আশপাশের সবাই টের পেলেও তিনি বুঝতেই পারেননি। কিন্তু কেন? অনেকে এমন মানুষদের নিয়ে মজা করেন। কিন্তু এটা মজার কোনো বিষয় নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মূল কারণ সংবেদনশীলতা ও ব্যক্তির অবস্থান। এছাড়া আরও যেসব কারণে এমনটা হতে পারে- ১. সংবেদনশীলতার (সেন্সরিটি) পার্থক্যবিশেষভাবে সংবেদনশীল বা সেন্সিটিভ ব্যক্তিরা কম কম্পনও অনুভব করতে পারে। অন্যদিকে যাদের গতি, শব্দ বা ভারসাম্য অনুভব করার ইনারার (ভেস্টিবুলার) সিস্টেম কম সহনশীল, তারা মাঝারি কম্পনও টের নাও পেতে পারে। আমদারসময় একটি প্রতিবেদনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন যে, ‘সেনসিটিভিটি কম হলে ভূমিকম্প অনুভব করার সম্ভাবনা কমে যায়।’ ২. ব্যক্তির অবস্থান ও গতিশীল অবস্থাযারা বাড়ির উপরের তলায়

অনেকেই ভূমিকম্প টের পান না, কিন্তু কেন?

ঢাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্র ছিল ৫ দশমিক ৭। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদীতে। ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ ঘর ছেড়ে রাস্তায় এসে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউবা ছিলেন বাসে, আবার কেউ ঘরে থেকেও ভূমিকম্প অনুভব করেননি।

এমন অনেকের কাছেই শুনবেন ভূমিকম্প আশপাশের সবাই টের পেলেও তিনি বুঝতেই পারেননি। কিন্তু কেন? অনেকে এমন মানুষদের নিয়ে মজা করেন। কিন্তু এটা মজার কোনো বিষয় নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মূল কারণ সংবেদনশীলতা ও ব্যক্তির অবস্থান।

এছাড়া আরও যেসব কারণে এমনটা হতে পারে-

১. সংবেদনশীলতার (সেন্সরিটি) পার্থক্য
বিশেষভাবে সংবেদনশীল বা সেন্সিটিভ ব্যক্তিরা কম কম্পনও অনুভব করতে পারে। অন্যদিকে যাদের গতি, শব্দ বা ভারসাম্য অনুভব করার ইনারার (ভেস্টিবুলার) সিস্টেম কম সহনশীল, তারা মাঝারি কম্পনও টের নাও পেতে পারে। আমদারসময় একটি প্রতিবেদনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন যে, ‘সেনসিটিভিটি কম হলে ভূমিকম্প অনুভব করার সম্ভাবনা কমে যায়।’

২. ব্যক্তির অবস্থান ও গতিশীল অবস্থা
যারা বাড়ির উপরের তলায় থাকেন, তাদের কম্পন অনুভব করার সম্ভাবনা বেশি। নিচ তলায় থাকা ব্যক্তিরা সেই কম্পনকে কম অনুভব করতে পারে। এছাড়া যারা হাঁটাহাঁটি করছেন, রান্না করছেন বা অন্যভাবে ব্যস্ত তাদের কাছে কম্পন ধরা কম স্পষ্ট হতে পারে। স্থির অবস্থায় থাকা (উদাহরণস্বরূপ, এক জায়গায় বসে কাজ করা) মানে কম্পনকে বেশি ম্যাপ করা যায়।

মনোরোগ বা দৃষ্টিকোণগত কারণে উচ্চতা বা দৃষ্টির সীমাবদ্ধতা: কিছু মানুষ উচ্চতায় বা গতি-চলাচল বুঝতে কম সক্ষম হতে পারে, যা ভূমিকম্প অনুভবের সক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
কালবেলা

৩. কম্পনের উৎস এবং দূরত্ব
যদি ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে আপনি অনেক দূরে থাকেন, কম্পনের শক্তি ধীরে ধীরে দূরে যাওয়া পথে হ্রাস পায়। এই কারণে দূরের মানুষগুলো কম্পন কম বা না-টের পাওয়া অনুভব করতে পারে।

৪. মৌলিক শারীরবৃত্তীয় কারণ
কিছু বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা বলেছে যে মানুষের শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া (যেমন ইনারার বেলেন্স সিস্টেম, এলার্জি-রেসপন্স, ঘুমচক্র) ভূমিকম্প অনুভবে ভূমিকা রাখতে পারে। যদিও ভূমিকম্প-সংবেদনশীলতা হিসেবে যে মতবাদ আছে, সেটি বৈজ্ঞানিকভাবে সু-প্রমাণিত নয়।

৫. মনস্তাত্ত্বিক পার্থক্য
ভূমিকম্পের সময় অনেকেই ঘুম বা বিশ্রামেই থাকে আর এই সময় তাদের মন-মস্তিষ্ক কম ফোকাসড থাকতে পারে কম্পন ধরতে। অন্যদিকে যারা সতর্ক বা চুপচাপ বসে থাকে, তাদের জন্য কম্পন অনুভব আরও স্পষ্ট হতে পারে।

এই পার্থক্য শুধু আগ্রহের বিষয় নয় এটি জরুরি সতর্কতা ও সাড়া ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলতে পারে। যদি কিছু মানুষ ভূমিকম্প না টের পায়, তাহলে তারা সময়মতো প্রতিক্রিয়া নাও নিতে পারে, যা উদ্বার বা নিরাপদ জায়গায় যাওয়া বিলম্ব করতে পারে।

আরও পড়ুন
আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস কেন এত মলিন
বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ৭ পেশা

কেএসকে/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow