অন্যদের কাছে সম্মান পেতে যা করা জরুরি
সম্মান পাওয়া শুধু অন্যের কাছে ‘ভদ্র’ বা ‘ভালো আচরণ’ দেখানোর ব্যাপার নয়। এটি মূলত একটি পারস্পরিক প্রক্রিয়া, যেখানে প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিজের প্রতি সম্মান তৈরি করা। অনেক সময় মানুষ আমাদের সম্মান দেয় না, কারণ আমরা নিজেদের যথেষ্ট মূল্য দিই না। যখন আপনি নিজের শক্তি, সময়, অনুভূতি এবং সীমারেখার প্রতি গুরুত্ব দেন, তখন অন্যরাও তা স্বাভাবিকভাবে বোঝে এবং আপনাকে সম্মান দেয়। আত্মসম্মান মানে কেবল নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখা নয়, এটি শেখায় মানুষকে কীভাবে আপনার সঙ্গে আচরণ করতে হবে। ছোট ছোট অভ্যাস, যেমন নিজের যত্ন নেওয়া, সীমা নির্ধারণ করা বা অন্যকে শ্রদ্ধা জানানো—এসবই ধীরে ধীরে আপনার চারপাশের মানুষের কাছে সম্মান তৈরি করে। তাই যদি আপনি সত্যিই অন্যদের কাছ থেকে সম্মান পেতে চান, প্রথমেই নিজের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তোলা জরুরি। নিজের যত্ন নিন : নিজেকে উপেক্ষা করলে অন্যরাও একইভাবে আচরণ করবে আপনার সাথে। স্বাস্থ্য বজায় রাখুন—পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাদ্য, ব্যায়াম এবং মানসিক বিশ্রামের সময় নিশ্চিত করুন। আপনি যখন নিজেকে গুরুত্ব দেন, মানুষ তা বোঝে। কথার মূল্য রাখুন: যা বলবেন, তা মেনে চলুন। সময়মতো
সম্মান পাওয়া শুধু অন্যের কাছে ‘ভদ্র’ বা ‘ভালো আচরণ’ দেখানোর ব্যাপার নয়। এটি মূলত একটি পারস্পরিক প্রক্রিয়া, যেখানে প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিজের প্রতি সম্মান তৈরি করা। অনেক সময় মানুষ আমাদের সম্মান দেয় না, কারণ আমরা নিজেদের যথেষ্ট মূল্য দিই না।
যখন আপনি নিজের শক্তি, সময়, অনুভূতি এবং সীমারেখার প্রতি গুরুত্ব দেন, তখন অন্যরাও তা স্বাভাবিকভাবে বোঝে এবং আপনাকে সম্মান দেয়। আত্মসম্মান মানে কেবল নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখা নয়, এটি শেখায় মানুষকে কীভাবে আপনার সঙ্গে আচরণ করতে হবে। ছোট ছোট অভ্যাস, যেমন নিজের যত্ন নেওয়া, সীমা নির্ধারণ করা বা অন্যকে শ্রদ্ধা জানানো—এসবই ধীরে ধীরে আপনার চারপাশের মানুষের কাছে সম্মান তৈরি করে।
তাই যদি আপনি সত্যিই অন্যদের কাছ থেকে সম্মান পেতে চান, প্রথমেই নিজের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তোলা জরুরি।
নিজের যত্ন নিন : নিজেকে উপেক্ষা করলে অন্যরাও একইভাবে আচরণ করবে আপনার সাথে। স্বাস্থ্য বজায় রাখুন—পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাদ্য, ব্যায়াম এবং মানসিক বিশ্রামের সময় নিশ্চিত করুন। আপনি যখন নিজেকে গুরুত্ব দেন, মানুষ তা বোঝে।
কথার মূল্য রাখুন: যা বলবেন, তা মেনে চলুন। সময়মতো আসা, বার্তার উত্তর দেয়া বা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা—এসব ছোট বিষয়ই আপনাকে নির্ভরযোগ্য করে তোলে। নির্ভরযোগ্য মানুষকে সবাই সম্মান করে।
‘না’ বলতে শিখুন : সবকিছুর জন্য ‘হ্যাঁ’ না বলুন। নিজের সীমা রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। যখন প্রয়োজন, দৃঢ়ভাবে ‘না’ বলুন। এটি আত্মসম্মানের অংশ।
অন্যকে সম্মান দিন : আপনি চাইলে মানুষ আপনাকে সম্মান করবে, প্রথমে নিজে অন্যকে সম্মান দিন। মনোযোগ দিয়ে শুনুন, অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দিন এবং সদয় থাকুন। এভাবে সম্পর্ক শক্তিশালী হয়।
সীমা নির্ধারণ করুন : আপনার ব্যক্তিগত সীমা স্পষ্ট করুন—কি গ্রহণযোগ্য আর কি নয়। কেউ সীমা লঙ্ঘন করলে শান্তভাবে কিন্তু দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিন।
নিজের প্রতি সহমর্মী হোন : ভুল করা স্বাভাবিক। নিজেকে দোষারোপ না করে শেখার সুযোগ দিন। আত্ম-সহমর্মিতা আত্মসম্মান বাড়াতে সাহায্য করে।
নিজের মূল্য জানুন : নিজেকে অবমূল্যায়ন করবেন না। আপনার শক্তি, প্রতিভা ও অর্জন স্বীকার করুন। আত্মবিশ্বাসী মানুষকে অন্যরাও সম্মান করে।
অবমাননা সহ্য করবেন না : যদি কেউ আপনাকে অসম্মান করে, নীরবে মেনে নেবেন না। শান্তভাবে জানিয়ে দিন যে এটি গ্রহণযোগ্য নয়।
আত্মসম্মান একদিনে তৈরি হয় না, এটি ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে। নিজের যত্ন নিন, প্রতিশ্রুতি রাখুন, সীমা নির্ধারণ করুন এবং অন্যকে সম্মান দিন। নিজের প্রতি সদয় হলে দেখবেন, অন্যরাও আপনাকে সম্মান করতে শুরু করবে।
What's Your Reaction?