অন্যরা কী দেবে তার ওপর নির্ভর করে আইএমএফ’র সহায়তা চাইবে বাংলাদেশ

1 hour ago 4

অর্থপাচার প্রতিরোধ, ব্যাংক ও রাজস্ব খাতের সংস্কারসহ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা সংস্কার ও পদক্ষেপের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছে সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।

তবে আইএমএফ’র কাছে কী পরিমাণ সহায়তা চাওয়া হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। অন্য দাতা সংস্থাগুলো কি পরিমাণ সহায়তা দেবে সেটা জানার পর আইএমএফ এর কাছে সহায়তার পরিমাণ উল্লেখ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা।

বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা রকম সংস্কার ও পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রিসোর্স (সম্পদ) দরকার। আমরা যতটুকু পারি দেশিয় সম্পদ আহরণ করবো। কিন্তু কিছু কিছু জিনিস আছে বিদেশি সহায়তা লাগবে। এর মধ্যে অন্যতম আইএমএফ, ব্যালেন্স সাপোর্ট দেয়, ব্যাংকিং সেক্টর ও অন্যান্য সেক্টরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটা মিশন আসছে, আমাদের সম্ভাব্য কী কী দরকার। আমরা বলেছি সংস্কারের বিষয়ে আমরা মোটামুটি পদক্ষেপ নিয়েছি, ব্যাংকিং সেক্টরসহ অন্যান্য সেক্টরে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। সময় কিছু লাগবে, বলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের রিসোর্স গ্যাপ কী পরিমাণ লাগবে, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ওরা ডিটেলস আরও আলাপ করবে। আমার সাথে নীতি ও মূল উদ্দেশ্য নিয়ে আলাপ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বসবে। ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট ও ব্যাংক রিফর্ম নিয়ে কী করবে, সেটা জানবে। এনবিআরের সাথেও বসবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ম্যাক্রো পলিসি টিম আছে। ডিটেলস আলাপ করে তাদের নিজস্ব ভিউ দেবে। তারপর অক্টোবর মাসে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক মিটিংয়ে যাবো, সেখানে পলিসি মেকারদের সাথে আলোচনা হবে। তারপর প্রেজেন্ট প্রোগ্রাম নিয়ে আলাপ হবে। আমরা ফিউচার কিছু....রিকোয়েস্ট করেছি। আমরা এখনো সঠিক বলিনি। আমরা বলেছি দেখে নিয়ে আমাদের রিসোর্স গ্যাপ ফরমালি জানাবো। সেটা নিয়ে আলাপ হবে।

তাদের কাছে কী চেয়েছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন বলেন, রিসোর্স, কারিগরি সহায়তা যেটা ব্যাংক সেক্টর রিফর্মের জন্য, মানি লন্ডারিংয়ের জন্য, তারপর ট্যাক্স রিফর্মের জন্য, ইনকাম ট্যাক্স, ভ্যাট রিফর্মের জন্য। শুধু আইএমএফ না, অন্যদের কাছেও কিছু চেয়েছি। কারা কী সাহায্য দেবে, সেটা কো-অর্ডিনেট করে আইএমএফকে আমরা স্পেসিফিক বলবো ওদের কাছ থেকে আমাদরে কী কী সাহায্য দরকার। ডুপ্লিকেশন না করে সবাই যেন একযোগে এফোর্ড দিতে পারে অর্থাৎ দু-তিনটি সংস্থা একই কাজ করবে কিন্তু রিসোর্স লাগবে বেশি। সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এমএএস/এসএনআর/এমএস

Read Entire Article