কুমিল্লার বুড়িচংয়ে অপহরণ করে নির্যাতনের পর ৭ দিন লাইফ সাপোর্টে থেকে অবশেষে মারা গেছেন কলেজছাত্র তুহিনের (১৯)। সোমবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকায় একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
জানা গেছে, তুহিন উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।
এ ঘটনায় গত ২০ অক্টোবর তুহিনের মা ফেরদৌসী আক্তার বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বুড়িচং থানায় অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মো. সাইফুল ইসলাম বাবু (৪৫), মো. নাফিজ উদ্দিন (১৯), শ্রীপুর গ্রামের মো. জহির (৪২), আবদুল আলিমসহ (৪৫)।
তুহিনের মা ফেরদৌসী আক্তার জানান, তার ছেলে বড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। পূর্ববিরোধের জেরে অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে তার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। গত ২০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮ টায় উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের কামাল মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে তুহিনকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এরপর অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বাবুর গোবিন্দপুর পূর্ব পাশের বিল্ডিং ঘরে নিয়ে গিয়ে লোহার রড ও এসএস পাইপ দিয়ে মারধর করা হয়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বুড়িচং উপজেলা হাসপাতালে, পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই রাতে তার অবস্থার অবনতি হয়ে তাকে ঢাকার একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ৭ দিন সেখানে লাইফ লাইফ সাপোর্টে থাকার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তুহিনের মৃত্যু হয়।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জাহিদ পাটোয়ারী/এনএইচআর/জিকেএস

3 hours ago
2









English (US) ·