অপহরণের ২ মাস পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

3 days ago 10

লক্ষ্মীপুরে অপহরণের প্রায় ২ মাস পর স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় সদর মডেল থানা পুলিশ। 

বুধবার (২৬ মার্চ) বিকেলে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার শাওন সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ গ্রামের চরভূতা গ্রামের মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে ও রাব্বি একই এলাকার মো. সবুজের ছেলে। 

সদর মডেল থানার এসআই মো. মোস্তফা বলেন, ভিকটিমকে অভিযুক্তরা ২ মাস আগে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। র‌্যাবের সহযোগিতায় চট্টগ্রামের হাটহাজারি জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপহৃত ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। 

র‌্যাব ও থানা পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী (১২)। বিদ্যালয়ের আসা-যাওয়ার পথে শাওন প্রায়ই তাকে প্রেম নিবেদনসহ উত্ত্যক্ত করত। ঘটনাটি ছাত্রী তার মাকে জানায়। পরে তার মা ঘটনাটি শাওনের বাবা ও ফুফুকে জানিয়েছে। কিন্তু তারা বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেয়। মেয়ে নাবালিকা হওয়ায় বাদী বিয়েতে রাজি হননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২০ জানুয়ারি বিদ্যালয় যাওয়ার পথে জোরপূর্বক ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। 

এ ঘটনায় ১ ফেব্রুয়ারি ছাত্রীর মা বাদী হয়ে শাওন-রাব্বিসহ চারজনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। অপর অভিযুক্তরা হলেন- শাওনের বাবা মোসলেহ উদ্দিন ও ফুফু তাসলিমা বেগম। 

অপহরণের ২ মাস ৫ দিন পর মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) র‌্যাব অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারি এলাকার জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে অভিযুক্ত শাওন ও রাব্বিকে গ্রেপ্তার করে। পরে হাটহাজারির কামালপাড়া এলাকা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য র‌্যাব অভিযুক্তদেরকে সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। 

র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু আসামিদের গ্রেপ্তার ও ভিকটিমকে উদ্ধারের বিষয়টি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে। 

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধারের পর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।

Read Entire Article