অফিস সময়ের আগে বাসায় ফেরা নিয়ে মারামারিতে জড়ালেন দুই কর্মকর্তা

1 month ago 22

অফিস সময়ের আগে বাসায় ফেরা নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রশাসন ভবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ২৫ আগস্ট অফিস সময়ের আগে দুপুর ২টায় বাসায় ফিরতে শিক্ষার্থীদের বাসে উঠলে কর্মকর্তাদের নামিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এদিন বাস থেকে নেমে অফিসে ফিরে যান তারা। পুরো সময় অফিস করে ৪ টায় বাসায় যান। বুধবার কর্মকর্তারা ফের ২টায় বাসায় ফেরার জন্য বাসে ওঠেন। শিক্ষার্থীরা তাদের নেমে যেতে বলেন। এ সময় কয়েকজন কর্মকর্তা নেমে শিক্ষকদের বাসে উঠে চলে যান। অন্যরা বাসেই বসেছিলেন। এ ছাড়া বাসের পাশে কয়েকজন কর্মকর্তা দাঁড়িয়েছিলেন।

এ সময় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের শাখা কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন এসে ধমকের সঙ্গে কর্মকর্তাদের ৪টা পর্যন্ত অফিস করতে বলেন। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বিল্লাল হোসেন তাকে চড়-থাপ্পড় ও লাথি মারেন। এসময় তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

অভিযুক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের শাখা কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন, শিক্ষার্থীরা বলার পরও তারা শুনছিলেন না। তখন আমি তাদের ২টার বাসে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের বাসে ঠেলাঠেলি করে যাবে কেন জিজ্ঞেস করছিলাম। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়।

ভুক্তভোগী রেজিস্ট্রার অফিসের শাখা কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তিনি আমাকে মেরেছেন। এরকম করবে আমি কল্পনাও করতে পারিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মামুনুর রশিদ বলেন, শিক্ষার্থীরা কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেছে পুরো সময় অফিস করার জন্য। তবে এটা নিয়ে তারা মারামারি করবে এটা কোনোভাবেই উচিত নয়। কারণ সে বিশ্ববিদ্যালয়ের অথোরিটির কেউ নন। তবে আমরা চাই দুপুরে কর্মকর্তাদের বাস শিডিউলে না রাখা তাহলে এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষকদের বলব আপনারা আপনাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন। অফিস সময়টা নিজেদের ডেস্কেই থাকবেন। যে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে তাকে ছাত্র সমাজ প্রতিহত করবে। সকলে মিলে একসঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করলে এ বিশ্ববিদ্যালয় অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।

মুনজুরুল ইসলাম/আরএইচ/জিকেএস

Read Entire Article