অফিসে মারামারি করা সেই ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মারামারির ঘটনায় অভিযুক্ত দুই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা হালিমা পারভীন কালবেলাকে তথ্যটি জানান। জানা গেছে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নির্দেশ অনুযায়ী উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের চান্দপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসান জুনায়েদকে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড ) করা হয়েছে। অপরদিকে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মহিউদ্দিনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে, গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের চান্দপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে দুই শিক্ষকের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ৩৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। যদিও ঘটনাটি এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর দুপুরে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ঘটে।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মারামারির ঘটনায় অভিযুক্ত দুই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা হালিমা পারভীন কালবেলাকে তথ্যটি জানান।
জানা গেছে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নির্দেশ অনুযায়ী উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের চান্দপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসান জুনায়েদকে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড ) করা হয়েছে। অপরদিকে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মহিউদ্দিনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের চান্দপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে দুই শিক্ষকের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ৩৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। যদিও ঘটনাটি এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর দুপুরে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ঘটে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক শিক্ষক অপর শিক্ষককে চেয়ারের সঙ্গে চেপে ধরে রেখেছেন। এ সময় আতঙ্কিত কণ্ঠে এক নারীকে বলতে শোনা যায়, ‘আল্লাহ রহম করো, আল্লাহ রহম করো। জুনায়েদ সাহেব আপনারা এডি কাজ করতাছেন, আপনারা এডি কাজ করতাছেন? মারামারি করন লাগে? কাইজ্জা করন লাগে?’
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসান জুনায়েদ ও সহকারী শিক্ষক মো. মহিউদ্দিনের মধ্যে বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে মতবিরোধ ও বাগ্বিতণ্ডা চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ ডিসেম্বর দুপুরে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে দুজনের মধ্যে তর্ক শুরু হয়, যা পরবর্তীতে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
অভিযোগ রয়েছে, এ সময় উত্তেজিত হয়ে সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসান জুনায়েদ অফিসে থাকা একটি ধারালো বঁটি (দা) হাতে নিয়ে সহকারী শিক্ষক মো. মহিউদ্দিনের ওপর হামলার চেষ্টা করেন। তখন উপস্থিত সহকারী শিক্ষিকা ঝর্না আক্তার দ্রুত এগিয়ে গিয়ে তার হাত থেকে বঁটিটি কেড়ে নেন। এরপরও পরিস্থিতি শান্ত না হয়ে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে জুনায়েদ তার সহকর্মী মহিউদ্দিনকে ধাক্কা দিয়ে চেয়ারে ফেলে গলা চেপে ধরেন। পরে অন্যান্য শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তদন্তের ভিত্তিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্তৃপক্ষ এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা অফিস।
এ বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দা হালিমা পারভীন বলেন, ‘দুই শিক্ষকের মারামারির ঘটনায় রোববার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এ ঘটনায় এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও অপর শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে।’
What's Your Reaction?