অবরোধ তুলে ফের ‘বাংলা ব্লকেডের’ ডাক

3 months ago 28

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে চার ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৭ জুলাই) রাত ৮টায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামীকাল সোমবারও ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করবেন তারা। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ব্লকেড শুরু হবে।

নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, আমাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে থাকবে। সেটি আমরা আগেই জানিয়ে রেখেছি। আর আগামীকালও আমাদের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি চলবে। আমাদের আজকের ব্লকেড কর্মসূচি সারাদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আজ আমরা শাহবাগ থেকে কারওয়ানবাজার পর্যন্ত চলে গিয়েছিলাম। আগামীকাল আমরা ফার্মগেট ছাড়িয়ে যাবো।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে শহর থেকে শহরে। আগামী দিনে এটি আরও ছড়িয়ে পড়বে। আমরা সংবিধানের সব নাগরিকের সমান অধিকার আদায়ে লড়াই করছি। আমাদের আদালত দেখালে আমরা সংবিধান দেখাবো।

‘আমাদের আদালতের জন্য অপেক্ষা করার কথা বলা হচ্ছে। আমরা ৫০ বছর অপেক্ষা করছি। আর কত? শিক্ষার্থীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। হয় কোটা দূর করতে হবে নয়তোবা পুরো বাংলাদেশকে শতভাগ কোটার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আমরা কোটার প্রশাসনে যেতে চাই না’- বলেন এ সমন্বয়ক।

এর আগে চার দফা দাবিকে এক দফায় রূপান্তরের কথা জানান চলমান আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

তিনি বলেন, আমরা এতদিন চার দফা দাবিতে আন্দোলন করেছি। আগামীকাল (সোমবার) থেকে আমরা এক দফা দাবিতে আন্দোলন করবো। আমাদের দাবিটি হলো, সরকারি চাকরির সব গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা সংশোধন করতে হবে। আমি আবারও বলছি, শুধু প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে নয়, সব গ্রেডে কোটা সংস্কার করতে হবে।

সন্ধ্যা ৭টা থেকে সায়েন্সল্যাব, বাংলামোটর, চানখারপুল, নীলক্ষেতসহ বিভিন্ন জায়গার অবরোধ তুলে শাহবাগে আসতে থাকেন অবরোধকারীরা। সবাই শাহবাগে জড়ো হলে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা।

এদিকে, কোটাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু হলে বিকেলে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে রাজধানীতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়, ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।

এমএইচএ/এমকেআর/জিকেএস

Read Entire Article