অবশেষে ক্ষমা চাইলেন ইবি ছাত্রশিবির

2 hours ago 3
ডাকসুর ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলামকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও করা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রশিবিরের কয়েকজন কর্মী ক্ষমা চেয়েছেন। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে সার্বিক ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন তারা। এর আগে ডাকসুর ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলামের জুলাই আন্দোলনে সময় বলা ‘প্লিজ, কেউ কাউকে ছেড়ে যায়েন না’ অংশটি নিয়ে ব্যঙ্গ করে বানানো একটি ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ ওঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রশিবিরের আট কর্মী ওই ভিডিওটি তৈরি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে সৃষ্টি হয় ব্যাপক সমালোচনা। জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে নাহিদুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থীর ফেসবুক আইডি থেকে ২৬ সেকেন্ডের  একটি ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। এতে নবনির্বাচিত ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমকে উদ্দেশ্য করে ‘তুমিও জানো, আমিও জানি সাদিক কায়েম পাকিস্তানি’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। ভিডিওর একপর্যায়ে অপর ডাকসু প্রার্থী ও ছাত্রদল নেতা আবিদুল ইসলামের জুলাই আন্দোলনে বলা ‘প্লিজ, কেউ কাউকে ছেড়ে যায়েন না’ অংশটি নিয়েও তাচ্ছিল্য করতে দেখা যায় তাদের। তবে গত শুক্রবার রাতে ১২ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে আবিদুল ইসলামের জুলাই আন্দোলনে বলা ‘প্লিজ, কেউ কাউকে ছেড়ে যায়েন না’ অংশটি প্রচার করা হয়। ভিডিওটির খণ্ডাংশ দেখে ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা প্রতিবাদ জানান। এ ঘটনায় ভিডিওতে থাকা শিবির কর্মীরা এ ঘটনার ব্যাখ্যা তুলে ধরে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে আমরা বন্ধুদের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণা নিয়ে নিজেদের রুমে মজার ছলে আলোচনা করছিলাম। এতে সাদিক কায়েম ভাই এবং আবিদুল ভাই উভয়কেই নিয়েই আলোচনা হয়। আলোচনার এক পর্যায়ে ডাকসু নির্বাচনের সময় সাদিক কায়েম ভাইকে নিয়ে ব্যবহৃত বাক্য ‘তুমিও জানো, আমিও জানি-সাদিক কায়েম পাকিস্তানি’ এবং ডাকসু প্রচারণায় ব্যবহৃত আবিদ ভাইয়ের বাক্য ‘প্লিজ, আপনারা কেউ কাউকে ছেড়ে যাইয়েন না’ বলা হয়। তবে আমরা দেখতে পাই-২৬ সেকেন্ডের ভিডিওর শেষের ১২ সেকেন্ড কেটে অনলাইনে অতিরঞ্জিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচার করা হচ্ছে এবং আমাদের জুলাইয়ের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে।  অথচ এটি নিয়ে ভিডিও তৈরি করা এবং জুলাইয়ে আবিদ ভাইয়ের কৃতিত্বকে হেয় করা বা জুলাই আন্দোলনের স্লোগানকে অবজ্ঞা করা আমাদের কোনো উদ্দেশ্যই ছিল না। তারা আরও বলেন, মজার ছলে করা আমাদের এ বিষয়টি এভাবে আমাদের জুলাই সহযোদ্ধাদের ব্যথিত করবে- তা আমরা ভাবতে পারিনি। যেহেতু জুলাইয়ের কৃতিত্ব নিয়ে আমরা কোনো রকম কটাক্ষ করিনি। এরপরও বিভ্রান্তির কারণে, বিষয়টি আমাদের যেসব জুলাই যোদ্ধাদের ব্যথিত করেছে, তাদের কাছে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। এ বিষয়ে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, ওরা কিছু বন্ধুরা মিলে মজার ছলে ভিডিওটি করেছেন। পরে বুঝতে না পেরে ফেসবুকে দিয়েছেন। কিন্তু একটা মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ইস্যু ক্রিয়েট করার জন্য আংশিক ভিডিও ফেসবুকে ছড়াচ্ছেন। ওই ভিডিওতে তারা সাদিক কায়েমকে নিয়েও ট্রল করেছেন। ভিডিওতে থাকা কয়েকজন জুলাই আন্দোলনের সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ও নির্যাতিত হয়েছিলেন। কিন্তু তাদেরকে এখন জুলাইয়ের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা ইতিমধ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। আবিদ ভাইয়ের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।
Read Entire Article