অবশেষে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সোহেল খান

2 hours ago 3

বলিউডের আলোচিত খান পরিবারে একসময় জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে হয়েছিল সোহেল খান ও ফ্যাশন ডিজাইনার সীমা কিরণ সাজদেহের বিয়ে। কিন্তু দুই যুগ ধরে চলা সেই দাম্পত্যে হঠাৎ নেমে আসে ভাঙনের ছায়া। ২০২২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয় সোহেল ও সীমার। কিন্তু এতদিন নীরব থাকা সোহেল খান অবশেষে ভাঙলেন নীরবতা। প্রথমবারের মতো তিনি মুখ খুললেন প্রাক্তন স্ত্রী সীমার সঙ্গে বর্তমান সম্পর্ক, বিচ্ছেদের অন্তরালের কারণ নিয়ে। 

ভারতীয় এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে সোহেল বলেন, ‘আমি সীমার সঙ্গে ২৪ বছর কাটিয়েছি। সীমা চমৎকার একজন মেয়ে। কিন্তু কিছু জায়গায়, কিছু বিষয়ে আমাদের মিল হচ্ছিল না। কিন্তু সেটা আমাদের সম্পর্কের সমীকরণ বদলে দেয়নি।’

তিনি তার প্রাক্তন স্ত্রীর প্রশংসা ও সন্তানদের জন্য যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়ে আরও বলেন, সীমা দারুণ একজন মানুষ, চমৎকার একজন মা, খুবই যত্নশীল মা। আমাদের মধ্যে কিছু বিষয়ে বনিবনা হয়নি। তার মানে এই নয় যে, আমাদের মধ্যে কোনো তিক্ততা রয়েছে। আমরা ঠিক করেছি, প্রতি বছর একবার আমরা (বাবা-মা হিসেবে) ছেলেদের নিয়ে ছুটিতে যাব এবং আনন্দ করব। আমরা আলাদা ব্যক্তি হলেও বাবা-মা হবো এবং ভালো সময় কাটাব। 

স্বামী-স্ত্রীর ইগো সন্তানদের প্রভাবিত করে। এ  বিষয় নিয়ে সোহেল খান বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যখন ঝগড়া হয়, তখন তার প্রভাব বাচ্চাদের ওপর পড়ে। স্বামী-স্ত্রীর ইগো সন্তানদের ওপরে ভীষণভাবে প্রভাব ফেলে। কিন্তু তারা তা উপলব্ধি করতে পারে না। এতে তারা শুধু নিজেদের জীবনই নষ্ট করছে না; বরং আগামী প্রজন্মকেও বিঘ্নিত করছে। ফলে সন্তানরা বড় হয়ে বিপথে চলে যেতে পারে। তাই আমি ও সীমা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা সেটা হতে দেব না।‘

এদিকে ২০২২ সালে এক সাক্ষাৎকারে সীমা বলেছিলেন, ‘আমি যদি এ ব্যাপারটি নিয়ে পড়ে থাকতাম, তাহলে ব্ল্যাক হোলের মতো এর আরও গভীরে নিমজ্জিত হয়ে পড়তাম। তাই বিপরীত পথ বেছে নিয়েছি। আমার মতে, এজন্যই সামনে এগোতে পারছি। আমার সন্তান, পরিবারের সদস্য ও ভাই-বোনদের ক্ষেত্রেও তাই। বোন, মেয়ে কিংবা ঘনিষ্ঠ কাউকে একটি বিষয় নিয়ে সব সময় নিমগ্ন হয়ে চাপ নিতে দেখতে মোটেও ভালো লাগার কথা নয়। তাই তাদের জন্য আমার জীবনটা সম্পূর্ণ ইতিবাচকভাবে দেখি।’ তবে সে সময় এই আলাপচারিতায় বিচ্ছেদের কারণ ব্যাখ্যা করেননি সীমা। 

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সোহেল খান ও সীমা। ২০০০ সালে তাদের ঘর আলো করে জন্ম নেয় পুত্র নির্বাণ খান। ২০১১ সালে সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম নেয় তাদের দ্বিতীয় পুত্র ইয়োহান।

Read Entire Article