অভিযানের মাধ্যমে নদী ও চরাঞ্চলে বর্তমানে অবৈধ বালু উত্তোলন প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে বলে দাবি করেছে কোস্টগার্ড। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে কালের পরিক্রমায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী এলাকার জনগোষ্ঠী তথা দেশের আপামর জনগণের মাঝে নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষা, চোরাচালান বিরোধী অভিযান, সমুদ্র ও নদীপথে চুরি-ডাকাতি দমন, অবৈধ মাদকদ্রব্য পরিবহন রোধ, মানবপাচার রোধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলীয় অঞ্চলে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদা সচেষ্ট।
কোস্টগার্ডের এ কর্মকর্তা আরও জানান, গত ৫ আগস্ট পরবর্তীসময়ে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে নদী তীরবর্তী অঞ্চলে বালু খেকোদের তৎপরতা অনেকাংশে বেড়ে যায়। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের নির্বিচারে বালু উত্তোলনের ফলে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর ফসলি জমি এবং বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।
তখন অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের প্রতিবাদে ভুক্তভোগী জনসাধারণের আবেদন এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম ও পত্রপত্রিকার প্রতিবেদন কোস্টগার্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলে জানান তিনি।
লে. কমান্ডার মো. সিয়াম জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে কোস্টগার্ড তার আওতাধীন মেঘনা নদী সংলগ্ন চাঁদপুরের মতলব, মোহনপুর, ষাটনল, কালিপুর, মুন্সীগঞ্জ ও কবুতর খোলা এলাকা, খুলনার শিবসা ও আড়পাঙ্গাসিয়া নদী সংলগ্ন কয়রা, ঘরিলাল বাজার, আংটিহারা, তেঁতুলতলা ও বটিয়াঘাটা এলাকা, মেঘনা নদী সংলগ্ন ভোলার লালমোহন, ইলিশা, তেঁতুলিয়া নদী সংলগ্ন বেদুরিয়া, লতারচর, মুক্তিযোদ্ধা চর এবং বিষখালী নদী তীরবর্তী গোলবুনিয়া এলাকাসহ লাউকাঠি নদী সংলগ্ন পটুয়াখালীর লাউখালী ও দুর্ঘাপুর এলাকায় বালু খেকোদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট, যৌথ এবং সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে।
তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ৭৬টি বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার, ১০৬টি বালু বহনকারী বাল্কহেড, ৫টি এক্সক্যাভেটর/ভেকু (খননযন্ত্র) জব্দ এবং অবৈধ বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত ১৫৩ জনকে আটক করা হয়।
টিটি/এমকেআর/জিকেএস