ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অবৈধ লেভেল ক্রসিং বন্ধ করায় দুটি ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। এতে ক্ষণিকের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আটকে পড়া ট্রেনের যাত্রীরা। তবে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পথটি বন্ধ না করে ফিরে গেছেন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে লেভেল ক্রসিংটি অবৈধ হওয়ায় রেলওয়ের লোকজন চলাচলের পথটি বন্ধ করতে আসে। এসময় এলাকার কয়েকজন এসে এতে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে অনেক লোক জড়ো হয়ে পথ বন্ধ না করতে বলেন। বেলা পৌনে ১১টার দিকে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ও ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস আটকে দেন। এতে যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। এরমধ্যে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে সমাধানের আশ্বাস দেন এলাকাবাসীকে। ওই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে প্রায় ১৫ মিনিট পর ট্রেন দুটি ছেড়ে যায়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘লেভেল ক্রসিংটি অবৈধ হওয়ায় কর্তৃপক্ষ সেটি বন্ধ করতে আসে। তবে এলাকাবাসী এতে বাধা দেন। এ অবস্থায় দুটি ট্রেন সামান্য সময়ের জন্য আটকা পড়ে। বিষয়টির সমাধান করা হবে বলে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।’
গত ১৫ সেপ্টেম্বর আখাউড়ার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের দীঘিরজান এলাকার পাশে গিরিশনগরে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কায় পপি আক্তার (২৩) ও সাদিক মিয়া (৩৭) নামে দুজন নিহত হন। দুজনের বাড়ি কসবা উপজেলায়। পপি আক্তারকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক সাদিক মিয়া বৃষ্টির মধ্যে ট্রেন দেখতে না পেয়ে অবৈধ লেভেল ক্রসিংয়ের রেললাইনে উঠিয়ে দেন।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/আরএইচ/জিকেএস